কৌশিক সালুই, বীরভূম: বিগত দুবছর ধরে শারদীয়া উৎসবের প্রাক্কালে মহামারি পরিস্থিতি অব্যাহত। বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্যান্য পেশার পাশাপাশি প্যান্ডেল ব্যবসায়ী থেকে শিল্পী সকলেই সংকটের মুখে। রীতিমতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বীরভূমের সংশ্লিষ্ট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনেদের। তারা প্রহর গুনছেন কবে সুদিন ফিরে আসবে। বাংলা তথা বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপুজো। আর এই পুজোতে রকমারি বাহারি প্যান্ডেল আলোকসজ্জা বিভিন্ন থিম দেখানোর প্রতিযোগিতায় শামিল হন পুজোউদ্যোক্তরা। আর তাতে সব থেকে বড় ভূমিকা থাকে প্যান্ডেল শিল্পীদের। রথযাত্রার সময় খুঁটি পুজোর পর কার্যত নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে প্যান্ডেল শিল্পীরা বাঁশ কাপড় থার্মোকল সহ নানা সামগ্রী দিয়ে তাদের শিল্পকলা ফুটিয়ে তোলে। কিন্তু বিগত দুবছর ধরে সেই পরিস্থিতি বর্তমানে একেবারেই উল্টো।
অতিমারি পরিস্থিতিতে এবারও প্যান্ডেল ও প্রতিমা দর্শনে রাস টেনেছে প্রশাসন। আর তাতেই কার্যত পূর্বের সমস্ত জাঁকজমক বন্ধ পুজো উদ্যোক্তাদের। বর্তমানে প্রয়োজন মতো শুধুমাত্র প্যান্ডেল করছেন উদ্যোক্তারা। যেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা বাজেটের প্যান্ডেল হত সেখানে বর্তমানে এক লক্ষের নিচে বাজেট নেমে গিয়েছে। ফলে যেমন কাজ কমেছে প্যান্ডেল শিল্পীদের পাশাপাশি লভ্যাংশ কার্যত শূন্যের গোড়ায় প্যান্ডেল ব্যবসায়ীদের। অনেক প্যান্ডেল শিল্পিতো পেশা পরিবর্তন করে দিন মজুরি বা অন্য কাজে নিযুক্ত হয়েছেন। বীরভূমের সিউড়ির অন্যতম বড় পুজো উদ্যোক্তা চৌরঙ্গী ক্লাব। সেই ক্লাবের পক্ষে দেবাশীষ ধীবর বলেন, ” বিগত দুই বছর ধরে করোনা মহামারির জন্য পুজোর জাঁকজমক আয়োজনের অনেক কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনে এবারও প্রয়োজনমতো আয়োজন করে পুজো করা হচ্ছে। তাই বিগত বছরের প্যান্ডেলের যে বাজেট থাকে তা বর্তমানে অনেকটাই কম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হয়তো আগের মতো পরিস্থিতি ফিরে আসবে”। বীরভূমের প্যান্ডেল ব্যবসায়ী শীতেশ ঘোষ বলেন, ” বর্তমান মহামারি পরিস্থিতিতে আমরাও চরম সংকটে আছি। বিগত বছরে কয়েক লক্ষ টাকার কাজ করলেও বর্তমান দু বছরে তার কয়েক গুণ কমে গিয়েছে”।