পুবের কলম প্রতিবেদক: তৃণমূলের শিক্ষা সেলের রাজভবন অভিযান ঘিরে কার্যত তুলকালাম কাণ্ড কলকাতার রাজপথে। শুক্রবার দুপুরে তৃণমূলের শিক্ষা সেলের মিছিল এগোতে থাকলে রাজভবনের মূল গেটের কিছুটা আগেই গার্ডরেল দিয়ে মিছিল আটকায় পুলিশ। বাধা অতিক্রম করে রাজভবনে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন মিছিলকারীরা। এর জেরেই পুলিশের সঙ্গে বচসা এবং ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তৃণমূল শিক্ষা সেলের রাজভবন অভিযান ঘিরে এই মুহূর্তে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় চলে ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। রানি রাসমনি অ্যাভিনিউ থেকে মিছিল করে রাজভবনের উদ্দেশে যায় শাসকদলের শিক্ষক ও অধ্যাপক সংগঠনের সদস্যরা। শিক্ষাকর্মীদের যেতে না দেওয়া হলেও শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম রাজভবনের সামনে গিয়ে পৌঁছয়। তবে সে’ানে অসুস্থ হয়ে পড়ে মইদুল। রাজভবনের মূল গেটের সামনে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রথমে শ্লীলতাহানি। তারপর ধর্ষণ। গুরুতর অভিযোগ উঠছে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নবান্নে ধর্ষণের অভিযোগ জানান এক নৃত্যশিল্পী। পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলায় সাহায্যের আশ্বাসের ছলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁকে নয়াদিল্লির এক হোটেলে ধর্ষণ করেছেন। ওই নৃত্যশিল্পীর অভিযোগ, রাজ্যপালের এক আত্মীয়ই তাঁর বিমানের টিকিট কেটে দিয়েছিলেন। দিল্লির এক পাঁচতারা হোটেলের ঘর বুক করা হয়েছিল। সেখানেই নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া দিল্লির বঙ্গভবন থেকে রাজ্যপাল পৌঁছন। আর, সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এমনটাই অভিযোগ ওই নৃত্যশিল্পীর। তাঁর ওই অভিযোগ নবান্ন থেকে লালবাজারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ডিসি পদমর্যাদার এক অফিসার প্রাথমিক তদন্ত করে রিপোর্টও জমা দিয়েছেন। যার ভিত্তিতে নবান্নে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন কলকাতার নগরপাল।