বার্লিন, ১৫ মে: জার্মানির অতি-ডানপন্থী ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি’ পার্টিকে (এএফডি) নিষিদ্ধ করার জন্য চাপ বাড়ছে। আদালতের দু’টি রায়ে ইতিমধ্যেই ধাক্কা খেয়েছে এই দল। এএফডি’কে নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। গত সোমবার জার্মানির একটি আদালত এএফডি’র একটি আবেদন খারিজ করে দেয়। সেই আবেদনটি ছিল অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা বিভাগ ফেডারেল অফিস ফর দ্য প্রোটেকশন অফ দ্য কনস্টিটিউশন (বিএফভি)-র একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। বিএফভি এএফডি’কে উগ্র ডানপন্থী বলে চিহ্নিত করেছে। মঙ্গলবার আরেকটি আদালত এএফডি নেতা বিয়র্ন হকের বিরুদ্ধে রায় দেয়। তিনি এমন একটি স্লোগান ব্যবহার করেছিলেন যা নাৎসি পার্টির পার্লামেন্টারি শাখা ব্যবহার করত। ইতিহাসের প্রাক্তন শিক্ষক হক বলেছেন, তিনি এই নিষিদ্ধ স্লোগানের উৎপত্তি জানতেন না। হকের ১৩ হাজার ইউরো। স্যাক্সনির গ্রিন পার্টির বিচারমন্ত্রী মাইয়ার বলেছেন, ‘এখন এএফডিকে নিষিদ্ধ করার পদ্ধতি কতটা সফল হতে পারে তা খতিয়ে দেখা উচিত।’ স্যাক্সনি ও আরও একটি রাজ্যে এএফডি-কে ‘চরম ডানপন্থী’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এএফডি’র বিরুদ্ধে আদালতের রায় যাওয়ার পর সিডিইউ নেতা মার্কো ওয়ান্ডারউিটজ জানান, জার্মানির সংসদে এএফডি-কে নিষিদ্ধ করার দাবিতে একটি প্রস্তাব আনবেন তিনি। সিডিইউ মনে করছে, এখন আর চুপ করে থাকার কোনো অর্থ হয় না। আগামী সেপ্টেম্বরে পূর্ব জার্মানির তিনটি রাজ্যে নির্বাচন হবে। সেখানে এএফডি অন্যতম শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। বার্লিনের জার্মান ইনস্টিটিউট ফর হিউম্যান রাইটসের হেন্ড্রিক ক্রেমার দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, এএফডির শক্তিকে কম করে দেখা উচিত নয়। ক্রেমারের কথায়, ‘বছরের পর বছর ধরে এএফডি চরমপন্থার দিকে ঝুঁকছে। এএফডি-র চ্যাট গ্রুপ আছে। সেখানে জার্মানি ও বিদেশের পার্লামেন্ট সদস্যরা আছেন। সেখানে একটি চ্যাটে বলা হয়েছে, রাজনীতিবিদদের উপড়ে ফেলে বিপ্লব না করলে আমরা দিশা পরিবর্তন করতে পারব না।’