জৈদুল সেখ, কান্দি: ভোট শুরুর আগেই কংগ্রেস এজেন্টকে ভোট কেন্দ্র থেকে বাইরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস এজেন্টদেরকে বুথ থেকে বের করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সোমবার ভোট চলাকালীন ধুন্ধুমার বেঁধে গেল মুর্শিদাবাদের বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বড়ঞা বিধানসভা এলাকার হরিবাটী গ্রামে।
বড়ঞা ব্লক কংগ্রেস সভাপ্রতি আজাদ মল্লিকের অভিযোগ “সোমবার সকালে ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা হরিবাটী শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের কংগ্রেস এজেন্টদেরকে ঢুকতে বাধা দেয়। তৃণমূল কর্মীরা ওই দুটো বুথে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।” ঘটনার খবর কংগ্রেসের তরফ থেকে পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকাতে পৌঁছে বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে জমায়েতকারীদেরকে লাঠি চালিয়ে হটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। যদিও সম্পূর্ণ বিনা প্ররোচনাতে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠি চালানোর অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস।
বড়ঞা ব্লক সভাপতি গোলাম মুর্শেদ বলেন, ” সকাল থেকেই কংগ্রেসের এজেন্ট রয়েছে। তবে বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার দৃষ্টিহীন এবং প্রতিবন্ধী ভোটারদের ভোট দেওয়া নিয়ে কিছু সমস্যা তৈরি করছিলেন। তৃণমূলের এজেন্ট সেই নিয়ে প্রতিবাদ করলে প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে তার বচসা বেঁধে যায়। সেই সময় সম্পূর্ণ বিনা প্ররোচনায় পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে।”
মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরের ছাতিনাকান্দি আদিদাপাড়া জিএসএফপি বিদ্যালয়ের ১৯২ নম্বর বুথে ভোট দান প্রক্রিয়ার শুরুতেই। ইভিএম খারাপ হয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাহত হলো ভোট দান প্রক্রিয়া, সকাল থেকে ভোট দিতে এসে ভোগান্তির শিকার ভোটারদের।
সোমবার সকাল থেকে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর অধীর চৌধুরী নিজের নিরাপত্তারক্ষী এবং পাইলট গাড়ি নিয়ে বহরমপুর শহরের বিভিন্ন বুথে ঘুরে ভোটদান প্রক্রিয়া দেখতে শুরু করেন। সেই সময় সংবাদমাধ্যমের একাধিক গাড়ি তাঁকে অনুসরণ করা শুরু করে। দুপুর ১২ টার পর খাগড়া এলাকাতে অধীর অধীর চৌধুরী পৌঁছালে তাঁর সঙ্গে থাকা প্রায় ৩০ টি গাড়ির কনভয় দেখে সাধারণ মানুষ উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তারা অভিযোগ করেন অধীর চৌধুরী অনেক বেশি সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে ঘুরছেন তার ফলে শহরে যানজট তৈরি হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ নিজেদের বুথে ভোট দিতে যেতে পারছেন না।
এদিন দয়ানগরে অধীরবাবুর গাড়ি আটকায় পুলিশ। তাঁর কনভয়ে তিনটি গাড়ি ছিল। যে গাড়িতে তিনি চড়ছেন তার সঙ্গে ছিল একটি এসকর্ট ভ্যান ও তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীদের গাড়ি। কিন্তু পুলিশ জানায়, কেবল দুটি গাড়ি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। একটি গাড়ি ছাড়তে হবে। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সামান্য বচসাও হয় অধীরের। পরে দেখা যায়, অধীর চৌধুরীকে তিনটি গাড়ি নিয়ে ‘মুভ’ করার অনুমতি দিয়ে রেখেছে নির্বাচন কমিশন। তাই তাঁর সব গাড়িই ছেড়ে দেওয়া হয়।