বিশেষ প্রতিবেদন: পশ্চিমা বিশ্বে পবিত্র গ্রন্থ কুরআনের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে নওমুসলিমদের। ইউরোপে বসবাসকারী কুরআনের ইংরেজি অনুবাদক মুশারফ হোসেন জানান, গাজায় যুদ্ধের কারণে পশ্চিমাদের মধ্যে কুরআনের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হতে দেখা যাচ্ছে। তিনি জানান, পশ্চিমা দুনিয়ার নওমুসলিমরা পবিত্র কুরআনের ইংরেজি কপি তেলাওয়াতে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এভাবে তাঁরা ইসলামকে আরও ভালো করে বোঝার চেষ্টা করছেন। ২০২৩-র অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলের হামলার পর থেকেই প্রিন্ট ও ডিজিটাল -দুই ফর্মাটেই কুরআনের বিক্রি বেড়েছে। গাজা প্রসঙ্গে কুরআন অনুবাদক বলেন, ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরাইলের হামলা থামাতে রাজনীতিবিদদের ওপর চাপ বাড়াতে হবে ও ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করতে হবে। প্রসঙ্গত, জীবনে চলার ক্ষেত্রে আনন্দ-উদ্দীপনা থেকে উৎসাহী হওয়া, জীবনকে উপভোগ্য করে তোলার জন্য সহজ-সরল জীবনযাপন করা এবং তাতে সন্তুষ্ট থাকার বিষয়ে কুরআন মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। কুরআনে কারিমের বর্ণনা মতে, প্রকৃত মুমিনরা সবসময় শান্ত, হাসিখুশি এবং প্রাণবন্ত থাকেন। তাদের চেহারায় এই বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে হাসির মাধ্যমে। অভিজ্ঞ ইসলামি স্কলারদের অভিমত হল, খোদ কুরআন মুমিনের প্রফুল্লতার অনাবিল উৎস। কুরআন তেলাওয়াতে বাড়ে মুমিন মনের প্রফুল্লতা, পাওয়া যায় মানসিক প্রশান্তি। একথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই যে, মানুষের মুখ থেকে যা উচ্চারিত হয়, তার মধ্যে কুরআন পাঠই সবচেয়ে উত্তম।