পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অন্তর্বতী জামিন মঞ্জুর করেছে শীর্ষ আদালত। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে স্বস্তি বিরোধী শিবিরে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, এই জামিন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অক্সিজেন দেবে। সব ঠিক থাকলে শুক্রবার সন্ধ্যায় তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পাবেন কেজরিওয়াল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আপাতত লোকসভা ভোটের প্রচার করতে পারবেন তিনি।
২৫ মে দিল্লিতে ষষ্ঠ দফার ভোট। আজ আগে কেজরির মুক্তি নিঃসন্দেহেই আপের কাছে বড় স্বস্তি। আপ সুপ্রিমোর জামিনের খবরে খুশি তৃণমূল সুপ্রিমো। এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “কেজরিওয়াল অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পাওয়ায় আমি খুশি। তাঁর জামিন নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অক্সিজেন দেবে”।
দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত কেজরিওয়াল চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে দিল্লির তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন। গতকাল অর্থৎ বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের বিরোধীতা করে সুপ্রিম কোর্টে হফলনামা দাখিল করে। এ দিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়ার বিরোধিতা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সুপ্রিম কোর্টকে বলেছে যে প্রচারের অধিকার মৌলিক বা সাংবিধানিক নয়।
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা একটি নতুন হলফনামায়, ইডি বলেছে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তাছাড়া নির্বাচনী প্রচারের জন্য কোনও রাজনৈতিক নেতাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়নি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একজন প্রার্থীকে হেফাজতে থাকা অবস্থায় তার নিজের প্রচারের জন্যও অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয় না। তাহলে কোন যুক্তিকে কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রে জামিনের কথা ভাবা হচ্ছে?
দাখিল করা হলফনামায় ইডি বলেছে, রাজনীতিবিদরা একজন সাধারণ নাগরিকের চেয়ে বেশি কোনোও বিশেষ মর্যাদা দাবি করতে পারেন না এবং তারা অপরাধ করলে অন্য নাগরিকের মতো তাদের গ্রেফতার ও আটক করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, দিল্লির কথিত আবগারি নীতি মামলায় ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। ইডি তার হলফনামা দাখিল করার পরে আপের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেই প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, “দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের বিরোধিতা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সুপ্রিম কোর্টে যে হলফনামা দাখিল করেছে তার তীব্র আপত্তি জানাচ্ছে দল”।
এর আগে, মঙ্গলবার (৭ মে) সুপ্রিম কোর্টে কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের শুনানি হলেও সেদিন আদালত তার রায় সংরক্ষণ করে। ২ জুন আত্মসমর্পণ করতে হবে কেজরিওয়ালকে। কেজরিওয়ালের নির্বাচনী প্রচারে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি আদালত। এতে স্পষ্ট কেজরিওয়াল লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোটের হয়ে প্রচার চালাতে পারবেন।