পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : পাপের শাস্তি! ধর্মকে শিখণ্ডি করে মহিলাদের উপর পাশবিক অত্যাচার চালিয়ে গেছিলেন হরিয়ানার স্বঘোষিত ধর্মগুরু ‘জলেবি বাবা’। ভণ্ড বাবার কেচ্ছা কেলেঙ্কারিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল হরিয়ানায়। একাধিক মহিলাকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ, সেটি ভিডিয়ো করে রেখে দিত এই জলেবি বাবা। ১২০ জন মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে জলেবি বাবার ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত।
মঙ্গলবার জেলেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল সাধুর বেশে হিসারের সেই ‘শয়তান’-এর। জলেবি বাবার নাম ছিল বিল্লু রাম। তবে ভক্তদের জন্য ছিলেন জলেবি বাবা। তার আইনজীবী গজেন্দ্র পাণ্ডে জানান, স্বঘোষিত ধর্মগুরু ডায়াবিটিসের রোগী ছিলেন, অসুস্থতার কারণের জেলে হার্ট অ্যার্টাকে মারা যান। পুলিশ আধিকারিক ভূপ সিং জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে বিল্লু রাম বলেন, তার শরীর খারাপ লাগছে, চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
২০১৮ সালে প্রথম খবরের শিরোনামে আসেন এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু। পঞ্জাবের মনসা এলাকার বাসিন্দা বিল্লু রাম একসময় ঠেলা গাড়ি চালাতেন। পরে হরিয়ানায় এসে জিলিপি বিক্রি করতেন। একদিন হঠাৎ স্বঘোষিত ধর্মগুরু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে। একদিন বিল্লু রাম হয়ে ওঠেন জলেবি বাবা। এলাকায় একটি আশ্রমও খুলে ফেলেন। তখন থেকেই শুরু হয় তার কুকীর্তির ডাইরি। সুন্দরী, অল্প বয়সি কোনও মহিলা ভক্ত তার কাছে এলে আর মুক্তির উপায় নেই, নিজের অজান্তেই ‘বাবা’র লালসা মেটাতে হত তাদের। চায়ের সঙ্গে মাদক খাইয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ। গোটা কর্মকাণ্ড ভিডিয়ো করে রাখা হত। সেই ভিডিয়োকে হাতিয়ার করে ‘ব্ল্যাকমেল’ করা হত।
২০১৮ সাল নাগাদ তেমনই একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও’র ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে আরও একাধিক আপত্তিকর ভিডিও হাতে আসে পুলিশের। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে ১২০ জনের বেশি মহিলা এই ভণ্ড বাবার লালসার শিকার। মাঝবয়সী থেকে নাবালিকা কেউই বাদ ছিল না সেই তালিকা থেকে। তার পরেই জলেবি বাবার গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয় গোটা দেশ। ২০২৩ সালের ধর্মগুরুকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।