লাভপুর: “মিথ্যা বললে কালো কাকে কামড়াবে”, তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি নিয়ে মিথ্যা বিজ্ঞাপন বিরুদ্ধে লাভপুরে দলীয় প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে প্রচারে এসে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধারে বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন তিনি। হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত হিন্দি কমিডির “ঝুট বোলে কাউয়া কাটে, কালে কাউয়ে সে দারিও” শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়।
এদিন অল আউট বিজেপিকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করছি। এই বিজ্ঞাপন বেআইনি। নির্বাচন কমিশন এই ধরনের বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিতে পারে না। আমরা করলে অনুমতি দিত না। কোথাও প্রকাশকের নাম নেই। শুধু নিচে বিজেপি লেখা আছে। যে যে সংবাদ পত্র টাকার জন্য এসব প্রকাশ করছে তাদেরকে নোটিশ পাঠাবো। বিজ্ঞাপনে বলছে, তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতির আঁতুর ঘর। আমি বলছি তোরা ডাকাত। নরেন্দ্র মোদিদের বলবো, পিসি ভাইপো বলবেন না। ক্ষমতা থাকলে আর যদি হিম্মত থাকে পিসি ভাইপো না বলে, আমার আর অভিষেকের নাম দিয়ে বিজ্ঞাপন করো। দেখবো কত বড়ো বুকের পাটা! কোন পিসি? কোন ভাইপো? খায় না, মাথায় দেয়? লজ্জা করে না। বিজেপি এই বিজ্ঞাপনে নেমে এসেছে? মিটিংয়ে লোক হয় না, তাই কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন। তিন বছর ধরে একশো দিনের টাকা দেননি। এখন কোথায় বিজ্ঞাপনে টাকা পাচ্ছেন?
বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তেতাল্লিশ হাজার বাড়ি আমরা দিয়েছি। বেশির ভাগ টাকা আমাদের। এতো ঝুটা সরকার দেখিনি। নির্বাচন কমিশনের কোলে বিজেপি। এদের চোখ আছে দেখে না। কান আছে শোনে না। মনে রাখবেন মোদী বাবু, সারা ভারতে সততার দল তৃণমূল। তাই হিংসায় জ্বলেন, আর লুচির মতো ফোলেন। এই জেলার অনুব্রতে জেলে রেখেছেন। একদিন বের হবে। কেজরিওয়ালকে ভরেছেন। দেশের একমাত্র আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে জেলে ভরেছেন। গোটা দেশটাকে জেলখানা বানিয়েছেন।
তারপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সন্দেশখালি কেমনভাবে সাজিয়েছো? টাকা দিয়ে। টাকা দিয়ে বাংলার মায়ের আত্মসম্মান, সম্মান বিক্রি কোরো না। একটা পঞ্চায়েত এলাকায় ছোট্ট ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করেছো। সন্দেশ খালির কালি ঢাকতে তৃণমূলের ঘরে কালি? মোদিবাবু এসে চোখের জলে ভাসিয়েছো। তারজন্য গোটো রাজ্যবাসী দায়ী হয়ে যায় না। আপনারা দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছেন। আপনারা দেশ বেচার সরকার। ধর্ম বেচার সরকার। বিলকিস বানোদের প্রতি অত্যাচারের সরকার। মনে আছে অটলজী গুজরাটের দাঙ্গার সময় বলেছিলেন, রাজধর্ম পালন করুন। বলুন, করেছেন? কত মানুষ খুন করেছেন? সমস্ত ক্রিকেট খেলা গুজরাটে কেন হয়? জবাব আছে? আপনারা সংখ্যালঘু, মতুয়া, হিন্দু, আদিবাসী সবার অধিকার কাড়ছেন এন আর সি এবং ক্যার নামে। আগেরবার বাংলায় বলেছিলেন, ইসবার দুশো পার। পারেননি। এবার বলছেন, চারশো পার। এবার পগার পার হবেন। জিনিসের দাম বেড়েছে। জীবনের দাম কমেছে। কাল আপনি থাকবেন না। ইসবার পগার পার।