ইনামুল হক, বারাসত: ২০২৪ এর হজ যাত্রীদের নিয়ে একটি সংবর্ধনা সভা ও দোয়ার মজলিসের আয়োজন করে জমিয়তে উলামায়ে বাংলার উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া,অশোকনগর, আমডাঙ্গা উত্তর ও দেগঙ্গা থানা কমিটি। রবিবার অশোকনগরের কামারপুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্র প্রাঙ্গনে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে বাংলার কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক তথা ফুরফুরা শরীফের আওলাদে পীর ও বিশিষ্ট শিক্ষক আলহাজ্ব মাওলানা সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন সাহেব, সংগঠনের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আলাউদ্দিন আহমেদ, পশ্চিমবঙ্গ কাজী সোসাইটির রাজ্য সম্পাদক মাহতাবুর রহমান, মাওলানা মোশারফ হোসেন, মাস্টার ইসমাইল মল্লিক, হামিদ সাহেব, মাস্টার আতিয়ার সাহেব, মুখ্য সংগঠক মোজাফফর হক, মাওলানা মারুফ বিল্লাহ, মাওলানা মোস্তাক আহমেদ, মাওলানা হাফিজুর রহমান প্রমুখ। সংগঠনের জেলা সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বলেন, ২০০৪ সালে আমি নিজে হজ্ব করে আসার পর থেকে এই পবিত্র ব্রত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমার নিজের গ্রাম দরিয়াসুদি জামে মসজিদ থেকে প্রতিবছর হজযাত্রীদের নিয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করি। এরপর থেকে জমিয়তে উলামায়ে বাংলার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব শাহ সুফি পীর ইমরান উদ্দিন সিদ্দিকী সাহেবের নির্দেশে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। কখনো আবালসিদ্ধি চৌমাথা, বদর, চাঁদপুর কখনো কামারপুরে এই অনুষ্ঠান হয়। এদিন হজ যাত্রীদের হাতে সাত দানার তসবিসহ কিছু তোহফা তুলে দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ফুরফুরা শরীফের দাদা হুজুরের রহ. এর নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত জমিয়তে উলামায়ে বাংলার খাদেম হয়ে নানাবিধ সামাজিক কর্মসূচির পাশাপাশি আল্লাহর মেহমান হজ যাত্রীদের খেদমতে অংশগ্রহণ করে গর্বিত। তিনি মনে করেন, হজে গিয়ে যদি কোন কষ্ট বা সমস্যার মুখোমুখি হন তাহলে তা হাসিমুখে ধৈর্য সহকারে মানিয়ে নেওয়াই উত্তম। এতে রাসূল সা. এর প্রতি ভালোবাসা থেকে তার একটি সুন্নতকে পালন করা হয়ে যায়। কারণ নবীজী (সা.) সারা জীবনে বহু কষ্টকে সবর করে সহ্য করেছেন। সংগঠনের তরফে জানানো হয়, হজব্রত পালন করে ফিরে আসার পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের হাজী সাহেবদের নিয়ে ফুরফুরা শরীফে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি বড় সংবর্ধনাসভা ও দোয়ার মজলিসের আয়োজন করা হবে।