পুবের কলম,ওয়েবডেস্কঃ আমেথি থেকে লড়ছেন না রাহুল। তিনি লড়ছেন রায়বরেলি থেকে। আমেথি কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী করল গান্ধি পরিবারের ঘনিষ্ঠ কিশোরী লাল শর্মাকে। ‘গড়’ পুনরুদ্ধারে পরিবারের ঘনিষ্ঠ কিশোরী লাল শর্মার উপর ভরসা রেখেছে কংগ্রেস। স্মৃতি ইরানিকে টক্কর দিতে পরিবারের পুরনো ‘অনুগত’ নেতার উপর আস্থা রাখল গান্ধি পরিবার।
২৬ বছর বাদে আমেথিতে কোনও অ-গান্ধিকে প্রার্থী করল কংগ্রেস । এর আগে ১৯৯৬ সালে পরিবারেরই ঘনিষ্ঠ সতীশ শর্মাকে প্রার্থী করেছিল হাত শিবির। সেবার জিতলেও দুবছর বাদে ১৯৯৮ সালে হেরে যান সতীশ। ১৯৯৯ থেকে টানা ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে আসছেন গান্ধিরা। ২৬ বছর বাদে ফের অগান্ধি প্রার্থী আমেথিতে।
৪ দশক ধরে গান্ধি পরিবারের সঙ্গে যুক্ত কিশোরী লাল শর্মা অবশ্য জন্মসূত্রে উত্তরপ্রদেশের মানুষ নন। তাঁর জন্ম লুধিয়ানায়। ছাত্রজীবন থেকে কংগ্রেসি রাজনীতি করেন। রাজীব গান্ধির সময় থেকেই গান্ধি পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ। রাহুল সাংসদ থাকাকালীন তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে কেএল শর্মাই আমেথির কাজকর্ম দেখতেন।
রায়বরেলিতেও সোনিয়ার প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। আমেথি ও রায়বরেলিতে গান্ধি পরিবারের ‘মুখ’ হিসাবে কাজ করেন তিনি। ১৯৮৩ সালে প্রথম আমেথিতে আসেন কে এল শর্মা। সেই সময় থেকেই এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছেন তিনি।
একদা কংগ্রেস গড়ে প্রার্থী হয়ে কিশোরীলাল বলেন, ‘আমি সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে ধন্যবাদ জানাই। আমার মতো একজন ছোটো কর্মকর্তাকে তাঁদের পারিবারিক গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমি এই নির্বাচন জেতার জন্য কঠোর পরিশ্রম করবো। গত ৪০ বছর ধরে এই লোকসভা কেন্দ্রে আমি সংগঠনের কাজ করে আসছি’।
২০১৯ সাল পর্যন্ত গান্ধি পরিবারের আধিপত্য বজায় ছিল আমেথিতে। কিন্তু, সেবার বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান রাহুল। প্রায় ৫৫ হাজার ভোটে জিতেছিলেন স্মৃতি। তার আগে ২০০৪ থেকে ২০১৯ সালে পর্যন্ত আমেথির সাংসদ ছিলেন রাহুল। তাঁর বাবা প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধিও আমেথি থেকে ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৯১ সালে পর্যন্ত সাংসদ ছিলেন। ১৯৯৯ সালে এই আসনে লড়েছিলেন সনিয়া। সেবার এই কেন্দ্রে সনিয়ার জয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন কে এল শর্মা। পরে সনিয়া ২০০৪ সালে এই কেন্দ্র ছেড়ে দেন রাহুলকে। রাহুল এই মুহূর্তে কেরলের ওয়েনাড় কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ। এই আসন থেকে এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি। অন্যদিকে, এবারও আমেথি কেন্দ্র থেকেই লড়াই করছেন স্মৃতি ইরানি।