দেবশ্রী মজুমদার: শান্তিনিকেতন :শান্তিনিকেতনে মাদক নিয়ে যুব সমাজের সমালোচনায় মুখর হলেন অনুব্রত। মঙ্গলবার বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ ও ইউনিভার্সিটির প্রফেসর সংগঠনের বীরভূম জেলা শাখার সম্মেলনে সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিশ্ব বাংলা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক স্বপন দত্ত সহ অনান্যরা।
এদিন দুপুরে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে অনুব্রত মন্ডল বলেন, “রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে সুসাইড করে নিত।” যদিও এই মন্তব্যের জেরে ক্ষুব্ধ বিশ্বভারতীর ছাত্র ছাত্রী আশ্রমিকদের একাংশ। অবশ্য অনেকেই অনুব্রতর এই মন্তব্যের মধ্যে অন্যায় কিছু দেখছেন না।
এদিনের সভায় অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol) বলেন, “অধ্যাপকরা যে ভাবে পথ দেখাবেন সে ভাবেই পড়ুয়ারা চলবে। আজ সকালেই দু’টো অভিযোগ পেলাম। বিশ্বভারতীতে( visva bharaty) নাকি এত নেশাখোর হয়ে গিয়েছে, পাতা না কি [মাদক দ্রব্য] সেটা ছেলেরা খাচ্ছে। সেটা না কি মেয়েরাও খাচ্ছে! আমি ভাবলাম, হায় রে দুর্ভাগ্য! রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে বোধ হয় সুইসাইড করতেন। এটা দেখতে হবে প্রশাসনিক স্তর থেকে।”
এদিন তিনি অধ্যাপকদের বলেন, “আপনাদের হাতেই চাবিকাঠি। চাবিকাঠি ঠিক থাকলে ছেলেমেয়েরা মানুষ হবে। এখন স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শাসন নেই। তবু ভালবাসা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”
এই বিষয়ে প্রবীন আশ্রমিক তথা ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, “অনুব্রতবাবুকে একটু ভাষা সংযত হয়ে বলা উচিত ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আত্মঘাতী বিষয়ে যথেষ্ট বিরোধী ছিলেন। একজন নোবেল জয়ী, বিশ্ব কবির বিষয়ে অর্থহীন মন্তব্য করা উচিত না।”
এদিন অনুব্রত বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে একবার নিজের দুঃখ ও স্বপ্নের কথা বলেন তিনি। তাঁর দুঃখ ছিল নিজের মেয়েকে বিশ্বভারতীতে ভর্তি করতে পারি নি। সময়টা ছিল ২০০৭ সাল। মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ব বাংলা বিশ্ব বিদ্যালয় গড়ে দিলেন। আর স্বপ্ন ছিল মেডিক্যাল কলেজের। সেটা আগেই রামপুরহাটে দিয়েছেন। এবার দিলেন বোলপুরে।