পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভোটদানের হার বৃদ্ধি নিয়ে সরব তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ফারাক্কায় নির্বাচনী সভা থেকে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন তুললেন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও। এদিনের সভায় বলিষ্ঠ কন্ঠে মমতা বলেন, “ইলেকশনেও চিটিং। বিজেপির কমিশন না হয়ে নিরপেক্ষ হয়ে উঠুন মানুষ সত্যিটা জানতে চায়।”
দেশে প্রথম দফার নির্বাচন হয় ১৯ এপ্রিল। সে দিন বাংলার তিন কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়।কমিশন ২০ তারিখ জানিয়েছিল প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ। এরপর দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ হয় ২৬ এপ্রিল। সেদিনও বাংলার তিনটি কেন্দ্র ভোট গ্রহণ হয়। কমিশন জানায় ভোট দানের হার ৬০.৯৬ শতাংশ। কিন্তু ভোট দানের চূড়ান্ত হার গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়ে প্রকাশ করে কমিশন। সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রথম দফায় ভোটদানের হার ৬৬.১৪ শতাংশ এবং দ্বিতীয় দফায় ৬৬.৭১ শতাংশ। অর্থাৎ পূর্বের প্রদেয় তথ্যের চেয়ে গতকালের পরিসংখ্যানে ছয় শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিনের সভায় ভোট দানের হারের বৃদ্ধি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “প্রথম দু’দফার ভোটের পর কমিশনের তরফে, কোথায় কত ভোট পড়েছে তার পার্সেন্টেজ জানানো হয়েছিল। বিভিন্ন সংবাদপত্র কমিশনকে উদ্ধৃত করে তা প্রকাশও করেছে। গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় জানতে পারলাম, প্রথম দু’দফায় ৫.৭০ শতাংশ ভোট ড্রপ আউট হয়েছে। যেখানে বিজেপির কম ভোট পোল হয়েছিল, হঠাৎ করে কমিশন নোটিশ জারি করে সেখানে ভোট বাড়িয়ে দিয়েছে।” মমতা প্রশ্ন তোলেন, “এই সংখ্যাটা বাড়ল কীভাবে? প্রথম দু’দফার ভোটের হার কত ছিল? কত ভোটার ছিল, কত মেশিন ব্যবহার করা হয়েছিল, এটা আমরা জানতে চাই।”
এ দিনের সভা থেকে সরাসরি ইভিএম মেশিন কারচুপির ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “প্রায় ১৯ লক্ষ ভোটার মেশিন মিসিং রয়েছে অনেকদিন ধরে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো নিজেদের ইচ্ছামতো লোকের ভোট পাল্টে দিয়ে নিজেদের মেশিন ঢুকিয়ে দিচ্ছে।” তিনি দাবি করেন, “এটা আমাদের সন্দেহ। মানুষের সন্দেহ দূর করতে হবে। আসল সত্যিটা জানাতে হবে। এটা মানুষ জানতে চায়।”