কিবরিয়া আনসারী: মহম্মদ সেলিমকে ‘বাজপাখি’ বলে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, “উড়ে এসে একজন ‘বাজপাখি’ মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছেন। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে কংগ্রেস সেলিমকে লড়তে পাঠিয়েছে। উত্তর দিনাজপুরে ফরওয়ার্ড ব্লকের রমজানকে লড়তে পাঠিয়েছে। মালদাতেও একজনকে পাঠিয়েছে।” এরপরই বাম-কংগ্রেস জোটকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “যেগুলো তৃণমূলের পাক্কা সিট তাতে জল ঢেলে দিতে এসেছে। যাতে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কেটে বিজেপিকে জেতানো যায় তার চেষ্টা করছে।” বাংলাতে বিজেপির দুটি চোখ, একটা কংগ্রেস একটা সিপিএম বলেও সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো।
সোমবার মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের সমর্থনে এক নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুধু মিথ্যা কথা বলেন। ১০০ দিনের কাজের টাকা তৃণমূল কংগ্রেস চুরি করেছে? একটা প্রমান দেখাক। আমি তো চ্যালেঞ্জ করছি একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে বলুন বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাটে কি অবস্থা। বাংলাতে ৩৫০ টা কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েও কিছু খুঁজে পায়নি।”
আগামী দিন বিজেপি ক্ষমতায় এলে কারও স্বাধীনতা থাকবে না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, “এনআরসি করে সবাইকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাবে। সিএএ করে সবাইকে তাড়িয়ে দেবে। আপনারা কি চান দেশ বিক্রি হয়ে যাক, দেশের সংবিধান ভেঙে যাক, লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাক, সংখ্যালঘু -তপশিলি-দলিতদের অস্তিত্ব কেড়ে নেওয়া হোক?” একইসঙ্গে মমতার সাফ বক্তব্য, “বাংলাতে এনআরসি, সিএএ কিছুই করতে দেওয়া হবে না। হিন্দু -মুসলিম আমরা এখানে একসঙ্গেই থাকবো, পাশে দাঁড়াবো। এটা আমাদের নীতি পদ্ধতি।”