নয়াদিল্লি, ২৮ ফেব্রুয়ারি: আজমিরে রামগঞ্জের কাঞ্চননগরে মসজিদে ইমাম হত্যায় এখনও কোনও গ্রেফতার হয়নি, জানাল আজমির পুলিশি। নিহত মুহাম্মদি মসজিদের ইমাম মুহাম্মদ মাহির উত্তরপ্রদেশের রামপুরের বাসিন্দা। পোস্ট মর্টেমের পর হাসপাতালের মর্গ থেকে ইমামের লাশ তুলে দেওয়া হয় তাঁর পরিবারের হাতে। উত্তরপ্রদেশ থেকে লাশ নেওয়ার জন্য আজমিরে এসেছিল তাঁর পরিবার। পুলিশ জানায় আইপিসির ৩০২ ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে অপরিচিতদের বিরুদ্ধে। তবে এখনও কোনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তিনজন মুখোশধারী ইমামকে হত্যার জন্য মসজিদে এসেছিল, মসজিদের পাশে রুমে ঘুমিয়ে থাকা ইমামকে হত্যা করে তারা। তবে সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ হাতে আসেনি।
স্থানীয় মুসলিমরা এই ঘটনায় আতঙ্কিত। তারা পুলিশ প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে অপরাধিদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন। উল্লেখ্য, ধর্মীয় স্থান ও সম্প্রীতির উজ্বল নমুনা বলা হয় আজমের শহরকে। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ সারা বছরই এখানে আসেন মইনুদ্দিন চিশতির দরগাহতে। সেই সংরক্ষিত ও সুরক্ষিত এলাকাতে এইভাবে দুষ্কৃতীরা সিনেমার ছবির কায়দায় এসে মসজিদে প্রবেশ করে এবং ছাত্রদের সামনে ইমামকে খুন করে মোবাইল কেড়ে নিয়ে চলে গেল।
আর প্রশাসন এখনও কোনও খবর দিতে পারল না খুনের মোটিফ ও দুষ্কৃতীর পরিচয় নিয়ে। ইমাম হত্যার ঘটনাকে কোনও সন্ত্রাসী কাজ বলে মনে করছে না আজমের প্রশাসন। আজমেরের মতো এক ঐতিহ্যশালী স্থানে এক মসজিদের ইমাম ও আলেমকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হল। অনেকে মনে করছেন এই ঘটনার প্রভাব পড়বে আজমির দরগার উপরও। উত্তেজনা বাড়তে পারে আজমিরে। যে ছয়জন ছাত্রর সামনে তাদের শিক্ষককে নৃশংভাবে হত্যা করা হল তাদের আতঙ্ক কাটানো ও কাউন্সিলিংয়ের কোনও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানানো হয়নি। লোকসভা নির্বাচনের সময় এই হত্যার ঘটনায় স্তম্ভিত স্থানীয় ভোটাররা। স্থানীয় কোনও রাজনৈতিক দলের নেতারাও এখানে আসেননি সমবেদনা জানাতে বা শোকপ্রকাশ করতে।