শান্তিনিকেতন: রাজ্যের প্রকল্প সারা বিশ্বে স্বীকৃত হলেও, কেন্দ্রের মুখে তার সুনাম শোনা যায় না। এবার বিশ্বভারতীর মতো কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “কন্যাশ্রী প্রকল্প” কতটা সমাদৃত তার প্রমাণ মিললো অভিভাবকদের চিঠিতে। উনিশে এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন পাঠভবন এবং শিক্ষা সত্রে পাঠরত অভিভাবকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিকের কাছে চিঠি দেন। কারণ, একুশ সাল থেকে তিন বছর এই কন্যাশ্রী প্রকল্প থেকে বঞ্চিত বিশ্বভারতীর পড়ুয়া। সূত্রের খবর, বিজেপির ভাবধারায় অভিষিক্ত তদানীন্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি কেন্দ্র সরকারকে খুশি করতে অমর্ত্য সেন জমি বিতর্ক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজিরভাবে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কান দিয়ে শোনেন।” তারপর তদানীন্তন উপাচার্যর আমলে আশ্রমিকদের সঙ্গে বিরোধের জেরে বিশ্বভারতীকে দেওয়া রাস্তা কেড়ে নেয় রাজ্য। অভিযোগ, সেই সময় থেকে, এই কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয় বিশ্বভারতীর পাঠ ভবন ও শিক্ষা সত্র পড়ুয়াদের। বিশ্বভারতীর এই দুটি ভবনে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। ভোটের মুখে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে পাঠভবন ও শিক্ষা সত্রের কন্যা পড়ুয়াদের অভিভাবকদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুযোগ গ্রহণের আর্জি আলাদা মাত্রা এনে দিল, বলে ধারণা অভিজ্ঞমহলের। কারণ এই চিঠিতে পরিস্কার বলা হয়েছে যে, এই প্রাকল্পিক সুবিধা কয়েক বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা পেত। নিম্ন আয়ভুক্ত পরিবার থেকে আগত কন্যা পড়ুয়ারা এই প্রকল্প থেকে অনেকটাই সুবিধা পাবে। এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠভবন, শিক্ষা সত্রর অধ্যক্ষ এবং বোলপুর মহকুমা শাসক অয়ন নাথকে দেওয়া হয়েছে।