নলহাটি: সরকারকে বলবো, ভাণ্ডার দিন, কিন্তু বাড়িতে লক্ষ্মী বৌমা আনার জন্য ছেলের হাতে কাজ দিন। আমি না, সাধারণ মায়েরা বলছেন। শুক্রবার নলহাটির কাঁটাগড়িয়া মোড় থেকে বাম কংগ্রেসের যৌথ পরিক্রমার করার আগে এভাবেই রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করেন জোট প্রার্থী মিল্টন রসিদ। এদিন বারা গ্রামের তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গীর সেখের হাত ধরে পঞ্চাশটি পরিবার জাতীয় কংগ্রেসের পতাকা তুলে নেয়। এদিন মিল্টন বলেন, আমাদের রাজ্যে মায়েদের ভাতা দিন। কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু বাড়ির ছেলেদের হাতে কাজ দিন। আমাদের ছেলেরা ঘর ছেড়ে বাইরে কেন কাজ করতে যাবে? এমন একদিন আসবে সেই গানের মতো বলতে হবে, দাদা পায়ে পড়ি রে, মেলা থেকে বৌ এনে দে রে!
এরপর তিনি গোপালচক, চারাগাছি, বান্দখালা মোড়, ভগলদীঘি মিনি মোড় পর্যন্ত প্রচার করেন। এদিন মিল্টন বলেন, এই ভোট হতে হবে মোদীর শেষ ভোট। দেশ থেকে বিজেপি তাড়াতে না পারলে, আদানি আম্বানির হাত থেকে দেশকে বাঁচানো যাবে না। বাঁচবে না দেশের কৃষক, মজদুর থেকে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। ইণ্ডিয়া জোট কেন্দ্রে সরকার গড়লে মানুষ কাজ পাবে। কর্মসংস্থান হবে। আর মানুষের মূল চাহিদাকে উপেক্ষা করে ধর্মের ধ্বজা উড়িয়ে রাজনীতি করতে চাইছে তৃণমূল ও বিজেপি। ভালো করে খেয়াল করে দেখবেন, রাম নবমী নিয়ে অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে উদ্দাম নৃত্য করেছে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস। কিছু লোক দেখানো মামলা হয়েছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন এসব করতে দেওয়া হলো কেন? ইণ্ডিয়া জোট এলে অর্ডিন্যান্স জারি করে এসব বন্ধ করা হবে। মানুষে মানুষে লড়িয়ে দেওয়া চলবে না। চাকরি দিতে না পারলে, যুবকদের জন্য বিকল্প কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। আমরাও বলেছি মহালক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বছরে মায়েদের এক লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা। পাশাপাশি, যুবকদের ট্রেনিংয়ের কথাও বলেছি। আজকে বিজেপি ও তৃণমূল নিজ নিজ অঙ্ক কষছে। কিন্তু আমি আমার অঙ্ক কষেছি। আমার ভরসা গণদেবতার উপর। আমার জন্ম এখানে। আমার মাটি এখানে হবে। জানাযা হবে এখানে। আমি বিরোধী প্রার্থীদের দীর্ঘায়ু কামনা করি। তবুও বলছি, তাদের জন্মও এখানে হয় নি। সৎকারও হবে না।