ওয়াশিংটন, ২০ এপ্রিল: গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। বেশকিছু ছাত্র-ছাত্রীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমরের মেয়ে ইসরা হিরসিও গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। তাকেও বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি একশোর বেশি পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন পুলিশ।
At around 4am today, hundreds of @Columbia students descended on the main lawn and launched the Gaza Solidarity Encampment.
Nearly 60 tents were erected in minutes, with plans to remain until the school divests from Israel’s genocide of Palestine. pic.twitter.com/EkNrWv0Rpr
— Talia Jane ❤️🔥 (@taliaotg) April 17, 2024
১৭ এপ্রিল থেকে নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৫০টি তাঁবু গেড়ে সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন বহু পড়ুয়া। এই বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়েছেন অনেকেই। পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে সংহতি জানিয়েছেন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক কর্নেল ওয়েস্ট। অবস্থান বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হলেও ১৮ এপ্রিল পুলিশ ডেকে তাদের কঠোর অভিযান চালান বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসিডেন্ট ড. নেমাত শফিক। ওই সমস্ত তাঁবু ভেঙে দেয় কর্তৃপক্ষ। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক পুলিশ এসে তাঁবুগুলো জোরপূর্বক ভেঙে দেয়। এ সময় অন্তত ১০৮ জন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে তাঁবু ভেঙে দেওয়ার পরও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে। এই বিক্ষোভে প্রতিদিন হাজার হাজার পড়ুয়া অংশ নিচ্ছেন।
NOW: NYPD is kettling and surrounding protesters on the sidewalk in front of the main gates at Columbia in an attempt to force them into a barricaded pen
Protesters are refusing to move, saying that NYPD can’t force protesters into o move from a public sidewalk pic.twitter.com/TPPtCxl8zN
— katie smith (@probablyreadit) April 17, 2024
এবিষয়ে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নেমাত শফিক বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের একাধিকবার সতর্ক করার পরই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যারা তাঁবু গেড়েছে, তারা অনেক নিয়ম ও নীতি লঙ্ঘন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল।’
প্রসঙ্গত, গত সাত মাসে ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় লাগাতার গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। হামলায় এখনও পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৪৯ জনে। আহত হয়েছেন আরও ৭৬ হাজার ৯০১ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৭ হাজার। গাজায় গণহত্যার শুরু থেকেই ইসরাইলকে সামরিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো।