পুবের কলম,ওয়েব ডেস্ক: ইরানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু ও সামরিক ঘাঁটির শহর ইসফাহানে এসব হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে।
তবে ইরান দাবি করছে, ইসফাহানে ইসরাইলের তিনটি ড্রোন পর্যবেক্ষণ করছিল যা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। দেশটির বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় থাকায় ড্রোনগুলো ধ্বংস করা হয়।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ছোট ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
শুক্রবার ভোররাতে এই হামলা চালানো হয়। ইরানের ইসফাহান শহরের বিমানবন্দরেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এই শহরে নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট আছে। ইরানের সবচেয়ে বড় ইউরেনিয়াম কর্মসূচিও এই জায়গা থেকেই চলছে। এসব বিস্ফোরণের পর অনেক ফ্লাইট ডাইভার্ট করা হয়েছে। এই হামলার পর ইরান অনেক প্রদেশে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে।
উল্লেখ্য, ইসরাইলের এই সম্ভাব্য হামলার আগেও বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আমির সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে ইসরাইল পাল্টা আক্রমণ করলে ইরান অবিলম্বে উপযুক্ত জবাব দেবে। হামলায় ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেনি ইসরাইল। ইসরাইল আমেরিকাকে বলেছে যে তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিকে টার্গেট করছে না।
তবে এতে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহত হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় ইসফাহান শহরের আকাশে উড়তে থাকা তিনটি ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছে সে দেশের সামরিক বাহিনী।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যম এই খবর জানিয়েছে। ইরানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে ইসফাহানে বিস্ফোরণের খবর দেওয়া হয়েছে।
অন্য দিকে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি পাল্টা দাবি করেন, ইসরাইল হামলা করলে তার প্রত্যাঘাত হবে অত্যন্ত ভয়ানক। যদিও আমেরিকা, রাশিয়া-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইসরাইল কে হামলা না করার অনুরোধই করে আসছে বরাবর। এমনকি সমঝোতার কথাও বলে ছিল । কিন্তু রাজি হয়নি ইহুদি সেনা। অন্যদিকে ইরানে সীমিত হামলার আবেদন জানিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইরান পাল্টা আক্রমণের ব্যবস্থা যাতে না নেই তাও জানানো হয় । কিন্তু ইরান কোনো সমঝোতায় রাজি হয়নি ।