পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : মুজাফফরনগরে মুসলিম শিশু ছাত্রকে শিক্ষিকার হেনস্থার ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠালো সুপ্রিম কোর্ট। অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষিকা তৃপ্তা ত্যাগীর বিরুদ্ধে জুভেনাইল আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির কঠোর বিধানের অধীনে মামলা করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সোমবার ১৪ দিনের মধ্যে ইউপি সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। আগামী ২৬ এপ্রিল শুনানি বলে জানিয়েছেন বিচারপতি এএস ওকা ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার বেঞ্চ। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে গৃহীত মামলা পর্যবেক্ষণ করার পর সোমবার শীর্ষ আদালত নিগৃহীত ছাত্রের কাউন্সেলিং নিয়ে রাজ্য সরকারের সম্মতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। বেঞ্চ স্পষ্ট করেছে, ২১এ ধারার অধীনে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা পাওয়ার মৌলিক অধিকার রয়েছে। স্কুলগুলিতে ধর্মীয় নির্যাতন চলতে পারে না।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে মুজাফফরনগরের স্কুলে ক্লাসের মধ্যে অপর ছাত্রদের ডেকে মুসলিম ছাত্রকে চড় মারতে বলার অভিযোগ ওঠে স্কুল শিক্ষিকা তৃপ্তা ত্যাগীর বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়লেও শিক্ষিকা তৃপ্তা ত্যাগীর মধ্যে কোনও অনুশোচনা দেখা যায়নি, বরং তাঁর আচার-আচরণে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি যা করেছেন বেশ করেছেন।
২০২৩-এর আগস্টে মহাত্মা গান্ধির প্রপৌত্র তুষার গান্ধির দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, যোগী রাজ্যের পুলিশ শিক্ষিকার এই অপরাধকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করেছিল। বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, এক্ষেত্রে কাউন্সেলিং যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ, শিশু সুরক্ষা অধিকার আইনে বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পর্কিত আরও একটি হলফনামা চেয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্রটিকে মুজাফফরনগরের শার্ডেন পাবলিক স্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ২৮ কিলোমিটার দূরের স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য ছাত্রের বাবাকে টিউশন ফি ও পরিবহন ভাতা দেওয়ার কথা বলে রাজ্য। ছাত্রের বাবা আদালতকে জানান, গত ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি মাসে ২০০ টাকা ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার, ফলে নয়া শিক্ষাবর্ষে জন্য কোনও টিউশন ফি দেওয়া হয়নি। স্কুল থেকে হয়রানি হতে হচ্ছে।