পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:লোকসভা ভোটের আগেই মাও দমনে ফের বড়সড় সাফল্য ছত্তিশগড়ে। নিরাপত্তারক্ষীদের এনকাউন্টারে নিহত ২৯ জন মাওবাদী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক একে-৪৭ বন্দুক এবং বেশকিছু গ্রেনেড। মৃত ২৯ জনের মধ্যে শীর্ষ এক মাওবাদী নেতা শঙ্কর রাও আছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।রাজ্যের কাঁকের জেলায় এই গুলির লড়াই চলে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে যৌথ অভিযান শুরু করে বিএসএফ এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ ফোর্স। এই ফোর্স ২০০৮ সালে মাও দমনের লক্ষ্যেই তৈরি হয়েছিল। যে শীর্ষ নিহত হয়েছে তার মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ টাকা। গুলির লড়াইয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এই অভিযানকে সাম্প্রতিক সময়ের সব থেকে বড় মাওবাদী দমন অভিযান বলে চিহ্নিত করেছেন বস্তারের আইজি সুন্দররাজ পি। আইজি বলেন, এখনও ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে। আরও মাওবাদী লুকিয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। গোটা জেলায় ৬০ হাজারের বেশি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল বিজাপুরে যৌথ অভিযান চালায় অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা পুলিশের বিশেষ দল ও মাওবাদী বিরোধী ফোর্স। ছত্তিশগড়ে তেলেঙ্গানার সীমানা সংলগ্ন বিজাপুর জেলায় পুজারী কাঙ্কের জঙ্গলে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযানে ছিল ছত্তিশগড় পুলিশের একটি বাহিনীও। যৌথ বাহিনীর গুলির লড়াইয়ে তিন মাওবাদী মারা যায়। ২ তারিখ আরও ৯ জন নিহত হয়।
সেই অভিযান চালিয়েছিল ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, সিআরপিএফ এবং কোবরা বাহিনীর সদস্যরা।
বিএসফের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার ছোটেবেটিয়া থানার অন্তর্গত এলাকায় যৌথ অভিযানে নেমেছিল ডিআরজি এবং বিএসএফ। জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চলে। পাল্টা গুলি ছোড়েন জওয়ানেরা। এক জওয়ানের পায়ে গুলি লেগেছে। তবে তাঁর অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।