পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ‘আরবদের কোনও সাহায্য চাই না। কিছু আশাও করি না। ‘শহিদ’ স্বামীর দেহ ছুঁয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন হামাস প্রধানের পুত্রবধূ। ‘শহিদ’ হাজেম হানিয়ার স্ত্রী তিনি।
বছর ঘুরতে চলল, এখনও ইসরাইল-ফিলিস্তিন রক্তক্ষয়ী সংঘাত থামার লেশ টুকু নেই। বিশ্বের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে অবিরাম বোমা বর্ষণ চালাচ্ছে রক্তপিপাসু ইহুদি সেনা। লক্ষ্য একটাই। হামাসকে চিরতরে মুছে ফেলা। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে গিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার তরতাজা প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে ইহুদি সেনা। কিন্তু কথাও কোনও টু শব্দ নেই। মুখে হাজারও গর্জন করলেও ইসরাইলের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত সে অর্থে পদক্ষেপ নেয় নি মুসলিম প্রধান দেশগুলো। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে আরব বিশ্ব’ও। সেই আক্ষেপের সুরই শোনা গেল হাজেম হানিয়ার স্ত্রী’র গলায়।
উল্লেখ্য, ইসরাইলের ড্রোন হামলায় শহিদ হয়েছে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও পরিবারের বেশ কয়েক সদস্য। অথচ নির্বাক শ্রোতার ভূমিকা পালন করছে আরব বিশ্ব। তাই আর তাঁদের কাছ থেকে কোনও আশা রাখতে চাইনা বলেই জানালেন হানিয়ার স্বামীহারা পুত্রবধূ।
গত বুধবার ঈদের দিন ইসরাইলি বাহিনীর ড্রোন হামলায় শহিদ হন হানিয়ার তিন ছেলে আমির, হাজিম ও মুহাম্মদ। প্রাণ হারায় তার তিন নাতি- নাতনিও। পরিবারের বাকি সদস্যদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য সকলেই গাড়ি করে বাড়ি যাচ্ছিল। তখনই আঘাত হানা হয় তাদের উপর। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল হানিয়া।
সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিল, প্রতিশোধ ও খুনের উদ্দেশেই অপরাধী শত্রুরা কাজ করে। তারা কোনও আইন মানে না। নেতাদের পরিবারকে আক্রমণ করাতেই তারা বিশ্বাসী। এবার আরব বিশ্বকে নিশানা করে সুর চড়াল শহিদ হাজিমের স্ত্রীও।
এদিন জানাজার পূর্বে স্বামী’কে জড়িয়ে মরহুম হাজিম হানিয়ার স্ত্রী জানান, আমরা সকলেই আল্লাহর সৃষ্টি। আমাদের ধৈর্যশক্তি অসীম। আমি তোমাকে আল্লাহর কাছে নিবেদন করেছি, তারা (ইসরাইলি) ব্যর্থ হয়েছে কারণ হাজিম বেঁচে আছে। সে মারা যায়নি। তুমি এই দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেও ওই দুনিয়ায় নতুন করে বাঁচবে। কোনও দুঃখ তোমাকে স্পর্শ করতে পারবে না সেখানে। ভালো থেকো।
এদিন তিনি আরও বলেন, গত ছয়মাস ধরে গাজায় গণহত্যা চালানো হচ্ছে। কিন্তু আরব দেশগুলো গাজার মানুষদের কোনও সমর্থন জানাচ্ছে না। আরবের কাছে কারও সাহায্য চাওয়ার দরকার নেই। তাদেরই আমাদেরকে দরকার হবে। আমাদের কখনও ওদের প্রয়োজন পড়বে না।