দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট ও বোলপুর, “মমতার এই জয়ের দিকে চেয়েছিল গোটা দেশ, এই জয় ঈঙ্গিতবাহী, নতুন কিছু সূচনা করবে” । বললেন ডেপুটি স্পীকার তথা রামপুরহাট বিধায়ক আশীষ বন্দোপাধ্যায়। ভবানীপুর উপনির্বাচনের ফলাফল গণনার তখনও বেশ কয়েক রাউন্ড বাকি আছে। রামপুরহাট দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্যাণ্ডেল করা হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ের দেওয়ালে বড় প্লাজমা টিভি লাগানো হয়েছে। চেয়ারে দর্শকের আসনে দলীয় কর্মী সমর্থকরা। প্রতি রাউণ্ডে মমতার লিড বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মীদের উচ্ছাস বেড়েছে। সবুজ আবির মাখানো চলছে। আশীষ বন্দোপাধ্যায়ও সবুজ আবিরে ঢেকে গেছেন। অন্যদিকে, বোলপুরে শুধুমাত্র আবিরে থেমে না থেকে, ঢোল তাসা বাজিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে কর্মীরা।
এদিন বোলপুরে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, কলকাতার হাইকোর্টের রাযে যদি নন্দীগ্রামে ভোটের ফলের আবার গণনা হয়, তাহলে সেখান থেকেও বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়লাভের পর এই দাবি করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
রবিবার দুপুরে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, নন্দীগ্রামের ভোটের পুনর্গণনা হোক, সেখানেও পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার ভোটে মমতা বন্দোপাধ্যায় জিতবেন।”
এদিনের ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হবে নাতো কি অন্য কেউ জয়ী হবে?”
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “বিজেপিকে জিজ্ঞাসা করুন ওরা এখন কি করবে? ঘরে বসে থাকবে, না মুখ থুবড়ে থাকবে, নাকি ছাগলের মত চারপায়ে হাঁটবে। সেটা ওরাই ভালো বলতে পারবে। আমি আর বিজেপিকে কী দেবো, ওরা ছাগলের মত চার পায়ে চলে বেড়াক। ছাগল বিড়ালের দল।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘পাগলের বাচ্চা’ বলেও কটাক্ষ করেন অনুব্রত মণ্ডল।
এদিন অনুব্রত বলে, “মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ দেখছেন। কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, লক্ষীর ভান্ডার – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, তাই করেন। তাই মানুষ হাত খুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিয়েছে। মানুষ আশীর্বাদ করেছে। আর বিজেপি একের পর এক দেশের সম্পত্তি বিক্রি করে দিচ্ছে। মানুষ দেখছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক উন্নয়ন করে যাচ্ছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তো ভোট দেবেই।”