পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডি হেফাজতে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ইডির গ্রেফতারির বিরোধিতায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেই আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, ইডির কাছে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কেজরিওয়াল। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সেই সময় জানান, তিনি কেজরিওয়ালের আবেদন বিবেচনা করবেন। সোমবার কেজরিওয়ালের ইডির গ্রেফতারি বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি হবে বলে জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা তালিকা অনুসারে, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের একটি বেঞ্চ ১৫ এপ্রিল দিল্লি হাইকোর্টের ৯ এপ্রিলের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে কেজরিওয়ালের আবেদনের শুনানি করবে।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত মার্চ ২১ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতার হন কেজরিওয়াল। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার পরে এই গ্রেফতার ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেছেন কেজরিওয়াল। আম আদমি পার্টির তরফেও এই গ্রেফতারিকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার’ তকমা দেওয়া হয়।
এদিকে হাইকোর্ট জানায় ইডির কাছে পর্যাপ্ত তথ্য ছিল তাই কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি স্বরানা কান্ত শর্মা বলেন, আর্থিক তছরুপ মামলায় একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও, প্রতিবারই সমন এড়িয়েছেন কেজরি। গ্রেফতারি ছাড়া ইডির হাতে আর বিশেষ কোনও সুযোগ ছিল না।
হাইকোর্ট যোগ করেছে, ইডি যে তথ্য সংগ্রহ করেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে কেজরিওয়াল অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিলেন, ২০২১-২০২২ দিল্লির আবগারি নীতি প্রণয়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন তিনি। আর্থিক তছরুপের অপরাধে জড়িত। ব্যক্তিগত ক্ষমতা ব্যবহার করে গোয়ার ভোটে নির্বাচনী প্রচারে সেই অর্থ ব্যবহার করেছিলেন।