মুহাম্মদ মুস্তাক আলি– জঙ্গিপুরঃ সামশেরগঞ্জ বিধানসভায় ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে এ যাবতটান টান উত্তেজনা লক্ষ করা যাচ্ছিল। রবিবার রঘুনাথগঞ্জে পলিটেকনিক কলেজে ভোট গণনায় তার নিরসন করলো। কংগ্রেসের প্রার্থী জইদুর রহমানের সঙ্গে প্রথম দিকে কড়া টক্কর হলেও বড় ব্যবধানে জয়ী হয়ে শেষ হাসি হাসলেন তৃণমূলের আমিরুল ইসলাম। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে। সূত্রের খবর আমিরুল ইসলাম তার নিকটতম প্রার্থী জইদুর রহমানকে ২৬১১১ রবিবার সামশেরগঞ্জ বিধানসভার ভোট গণনা শেষে তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম পান ৯৬১২০ টি ভোট বলে জানা গেছে।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কংগ্রেসের জইদুর রহমানের ঝুলিতে জমা হযেছে ৭০০০৯টি ভোট। একই বিধানসভায় বিজেপির মিলন ঘোষণ পেয়েছেন ১০৭৭০টি ভোট। সিপিআইএমের মোদেশ্বর হোসেন পেয়েচেন ৬১৪৫টি ভোট।
২০১৬ সালের পর তাকে সামশেরগঞ্জ বিধানসভা পুনরায় বিধায়ক নির্বাচিত করায় ভোটারদের অভিননন্দন জানিয়েচেন আমিরুল ইসলাম। গণনা শেষে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন– রাজ্য সরকারের এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতেই মানুষ তৃণমূলের অনুকূলে ভোট দিয়েছেন আমিরুলের জয়ের খবরে প্রায় একই ধরনের বার্তা দিয়েছেন জহগীপুর সাংগঠনিক তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমান। তিনি এদিন বলেন মুর্শিদাবাদে অনুষ্ঠিত জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থীর জয় যে সময়ের অপেক্ষায় ছিল একথা ইতিপূর্বেই আমি একাধিকবার বলেছি। খলিলুর রহমান সামশেরগঞ্জে সর্বস্তরের মানুষ এবং ভোটারদের পাশে থাকবে পুনরায় অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন।
পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান বলেন– গণতন্ত্রে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কেউ জেতে কেউ হারে। জইদুরের প্রতিক্রিয়া ভোটের রায়কে আমি মাথা পেতে নিচ্ছি। একইসঙ্গে তিনি বলেন– রাজ্যজুড়ে কংগ্রেসের এই ঘোর দুর্দিনেও সামশেঃগঞ্জের ৭০ হাজরেরও বেশি ভোটার হাত প্রতিকে ভোট দিয়েছেন। সামশেরগঞ্জে ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন আগামী দিনেও মানুষের সেবাই তিনি সক্রিয় অংশ গ্রহণ করবেন। ভোটারদের তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সামশেরগঞ্জ বিধানসভায় বিজেপির পায়ের তথা মাটি আরও সরে গেছে বলে ভোটের ফলাফল দেখে মন্তব্য করেছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।