পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর বিশ্বজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল- ফিতর। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মতো ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডেও পালিত হল ঈদ-উল- ফিতর। তবে সেখানে বাকি বিশ্বের মতো নেই ঈদের আনন্দ, আছে ধ্বংসযজ্ঞ, মানুষের মৃত্যু, আর প্রিয়জন হারানোর বেদনা।
ইসরাইলি বাধা উপেক্ষা করেই বুধবার পবিত্র আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঈদুল ফিতরের নামায আদায় করতে আসেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। নামায শেষে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করা হয়। চলমান গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ বছর আল আকসায় ঈদের নামাযে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। এছাড়া, চোখে পড়েনি উৎসবের আমেজও। ইসরাইল অধীকৃত পূর্ব জেরুসালেমের আল,আকসা মসজিদে এবারের ঈদের নামাযে অংশ নেন ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি মুসলমান। প্রথা অনুযায়ী কোলাকুলি, করমর্দন সবই করেছেন তাঁরা। কিন্তু এর মধ্যে আনন্দ ও উৎসবের আমেজের বদলে ছিল ক্ষোভ ও হতাশা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদের নামাযের সময় ইসরাইলের পুলিশ ঘিরে রেখেছিল পুরো মসজিদ প্রাঙ্গণ। এ ছাড়া মসজিদে প্রবেশ পথে ছিল কড়া পাহারা। জেরুসালেম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আল আকসায় অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতে ৬০ হাজারের বেশি মুসল্লি অংশ নেন। বৃষ্টি সত্ত্বেও ভোর থেকেই মুসল্লিরা ঈদের নামাজে অংশ নিতে মসজিদে আসতে শুরু করেন। কেউ কেউ এমনকি ফজরের নামাযের আগেই মসজিদে উপস্থিত হন। আনাদলু জানিয়েছে, ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসা কয়েকজন মুসল্লি ইসরাইলের পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। ফলে কোনো কোনো মুসল্লি মসজিদে ঢুকতে না পেরে মসজিদ গেটের বাইরেই ঈদের নমাজা আদায় করেছেন।
গত বছরও ঈদের দিনে সবাই মিলে আনন্দ করেছেন যারা, তাদের অনেকেই হয়তো ইসরাইলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। যারা বেঁচে আছেন তাদের অনেকেই ইসরাইলের বর্বরতায় হাত কিংবা পা হারিয়েছেন।
ঈদের নামাযে সামিল হন তারাও অনেকে। ফিলিস্তিনিরা বুধবার গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের আল-ফারুক মসজিদের ধ্বংসাবশেষে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছে। মসজিদের ধ্বংসাবশেষে ফিলিস্তিনিদের ঈদের নামাযের ছবি সামনে এসেছে।