ঢাকা, ৯ এপ্রিলঃ যান্ত্রিক জীবন ছেড়ে নাড়ির টানে বাড়ির পানে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মানুষ। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উদযাপনে ছুটছেন মানুষ। ট্রেন-বাস ও লঞ্চে গাদাগাদি করে ছুটছেন তারা। প্রচণ্ড ভিড়, তারপরও ঝুঁকি নিয়ে ছাদেও যাত্রা করছে ঘরমুখোরা। পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায় মোটরসাইকেলের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সদরঘাটে সকাল থেকে উপচেপড়া ভিড়। গাজীপুর-টাঙ্গাইলে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে যানজট রয়েছে। মহাখালী-সায়দাবাদে বাসে বাড়তি ভাড়ার নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেন আসার পর শুরু হচ্ছে আসন দখলের যুদ্ধ। জয়ী হতে প্রাণপণ চেষ্টা চলছে। অল্প সময়ের মধ্যেই বগি, দরজা, জানালা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ছে। এরপর উপায়হীন মানুষের যুদ্ধ চলে ছাদে ওঠার। গত কয়েকদিন দেখা না গেলেও এদিন উত্তরবঙ্গের সব ট্রেনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছাদে ওঠেন যাত্রীরা। ভ্যাপসা গরম আর গাদাগাদিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। এত কষ্ট আর ভোগান্তি সহ্য করেও যারা উঠতে পেরেছেন ট্রেনে, তাদের ঈদের খুশি যেন, তখন থেকেই শুরু।
অতিরিক্ত যাত্রী চাপের কারণে এদিন টিকিটধারী অনেকেই উঠতে পারেননি ট্রেনে। তবে কোনো ট্রেনই দেরিতে ছাড়েনি কমলাপুর থেকে। তবে রেলওয়ে বলছে, ছাদের যাত্রী ঠেকানোর সকল প্রস্তুতি থাকার পরও বাস্তবতার কাছে হার মেনেছে আইন।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। ঘরে ফিরতে মরিয়া মানুষ। অন্যান্য দিন সন্ধ্যা থেকে সদরঘাটে ভিড় দেখা গেলেও এদিন ভোর থেকেই ছিল উপচেপড়া ভিড়। বাড়তি ভাড়া ও শিডিউল বিপর্যয়ের ভোগান্তি মাথায় নিয়েই ঈদে লঞ্চে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা দেরি করে ছাড়ছে বেশিরভাগ লঞ্চ। তবে ভিড় থাকলেও আরামদায়ক যাত্রায় শামিল হতে পেরে সবার চোখেমুখে ছিল খুশির ঝিলিক।