মোল্লা জসিমউদ্দিন: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে উঠে প্রাথমিক সংক্রান্ত মামলা। প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই খারিজ করে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
‘আসল ওএমআর শিট চাই’, এদিন এমনই বার্তা দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। প্রয়োজনে আবারও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে গিয়ে সিবিআই তল্লাশি চালাতে পারে বলে এদিন নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।সিবিআই-কে নির্দেশ, আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে অতিরিক্ত রিপোর্ট দিয়ে স্পষ্ট করে জানাতে হবে যে -‘নিয়োগ কী ভাবে হয়েছে, কোথায় দুর্নীতি হয়েছে’। ২৯ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত ২০১৪ সালের টেটে কারচুপির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগে জানান, -‘২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেআইনিভাবে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে’। সেই মামলায় পর্ষদ দাবি করেছে, সব ওএমআর শিট ‘ডিজিটাইজড ডেটা’ হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। বিচারপতি মান্থা এদিন উল্লেখ করেন, এক পরীক্ষার্থীকে ওএমআরের প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছিল, অর্থাৎ ‘ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট’ থাকার কথা। সেই তথ্যই খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।আদালতের পর্যবেক্ষণ, -‘তথ্য প্রযুক্তি বিজ্ঞান বলছে ডেটা অর্থাৎ ডিজিটাইজড তথ্য সহজে নষ্ট হয় না। এমনকী মুছে ফেললেও তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব’।
বিচারপতি মান্থা আরও বলেন, “পৃথিবী থেকে মঙ্গলে গেলেও ডেটা পাওয়া সম্ভব। ওই ডেটা না পাওয়া গেলে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করতে বাধ্য থাকবে আদালত।”মঙ্গলবার সিবিআই আদালতে দাবি করেছে, -‘৩০৪ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে তদন্তে জানতে পেরেছে তারা।
চার্জশিট এবং অতিরিক্ত চার্জশিট ফাইলও করা হয়েছে ইতিমধ্যেই’। উল্লেখ্য, বিচারপতি পদে থাকাকালীন প্রাথমিকের ওএমআর শিট মামলাগুলি শুনেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ইস্তফা দেওয়ার পর মামলাগুলি যায় বিচারপতি মান্থার এজলাসে। মঙ্গলবার বিচারপতি মান্থা জানান, এই মামলায় সিবিআই-এর অনেক রিপোর্ট আদালতে পৌঁছয়নি। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ওই সব রিপোর্ট এজলাসে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।