তেল আবিব, ৮ এপ্রিল: আন্তজার্তিক মহল থেকে ইসরাইলকে ‘যুদ্ধবিরতি’র জন্য চাপ দেওয়া হোক হয়েছে। কদিন আগেই ইজরাইলকে যুদ্ধবিরতি করতে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আমেরিকা। আন্তজার্তিক মহল কাছে ইহুদিবাদী দেশটি যে মাথা নত করবে না, ফের তা স্পষ্ট করে দিলেন ইজরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গাজা যুদ্ধের জয় থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে রয়েছে ইজরাইল। তাই হামাস যতক্ষণ না সব জিম্মিকে মুক্তি না দিচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও যুদ্ধ বিরতি নয় বলে সাফ জানালেন ইজরাইলের প্রধানমন্ত্রী। রবিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা বিজয় থেকে এক ধাপ দূরে। কিন্তু আমরা যে মূল্য দিয়েছি তা বেদনাদায়ক ও হৃদয়বিদারক!”
কদিন আগেই যুদ্ধবিরতি করতে ইজরাইলকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেয় আমেরিকা। যুদ্ধবিরতি না হলে ইজরাইলের প্রতি নিজেদের অবস্থান বদলে ফেলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি সাফ জানান, ‘গাজার নাগরিকদের মৃত্যু আটকাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে।’ গত বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গাজার পরিস্থিতি নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বেশকিছুক্ষণ আলোচনা হয় বলে জানিয়েছে আন্তজার্তিক সংবাদমাধ্যম। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, “ইজরাইলকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমজনতার ক্ষয়ক্ষতি বন্ধ ও ত্রাণকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করতে হবে। আমেরিকার এই বার্তার পরে তেল আভিভ কী পদক্ষেপ করে, সেটা খতিয়ে দেখবেন মার্কিন আধিকারিকরা। তার পরেই গাজা নিয়ে নিজেদের অবস্থান নির্ধারণ করবে আমেরিকা।”
আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কায়রোতে যুদ্ধবিরতি আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে নেতানিয়াহু বলেন, ‘পণবন্দিদের মুক্ত না করে যুদ্ধবিরতি হবে না। ইজরাইল চুক্তি করতে প্রস্তুত, ইজরাইল আত্মসমর্পণ করতে প্রস্তুত নয়। আন্তর্জাতিক মহলের উচিত ইজরাইলের ওপর চাপ না দিয়ে হামাসের ওপর চাপ দেওয়া। তাহলে পণবন্দিদের মুক্তি বাস্তবায়িত হওয়ার পথে এগোবে।’
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে গাজার যুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় বসেছিল ইজরাইল ও হামাস। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে পরিষ্কার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। এখনও ইজরাইলি ও বিদেশি মিলিয়ে গাজায় পণবন্দি অন্তত ১৩৪ জন। বাইডেনের পরামর্শ মেনে যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটবেন কি নেতানিয়াহু? তবে ওয়াশিংটন আশা করেছিল, এই বার্তার পরে দ্রুত পদক্ষেপ করবে ইজরাইল।