পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে ফের অস্বস্তিতে পড়লেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব। ২৬ বছরের পুরনো মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের বিশেষ আদালত। ১৯৯৫-৯৭ সালের অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার মামলায় লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অভিষেক মেহরোত্রা জানিয়েছেন, সাংসদ ও বিধায়কদের বিচারের জন্য গঠিত বিশেষ আদালতের বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ফার্স্ট ক্লাস মহেন্দ্র সাইনি লালু যাদবের বিরুদ্ধে স্থায়ী পরোয়ানা জারি করেছেন। মামলাটি ২৬ বছরের পুরনো। এই মামলায় ১৯৯৮ সালেই লালু প্রসাদকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে অভিযুক্ত রাজকুমার শর্মা গোয়ালিয়রের তিন সংস্থা থেকে হাতিয়ার ও কার্তুজ কিনেছিলেন বলেই অভিযোগ। ওই অস্ত্র তিনি বিহারে বিক্রি করেন। যারা এই অস্ত্র কেনে তাদের মধ্যে ছিল লালুর নাম। মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ২২। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হলেও পলাতক হিসেবে রয়েছে যে ১৪ জনের নাম তাদের মধ্যে অন্যতম লালু। আরজেডি নেতার পক্ষে কেউ আদালতে হাজির না হওয়ায় স্থায়ী গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
কিন্তু এই মামলায় অভিযুক্ত লালুপ্রসাদ বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। আসলে আদালতের রেকর্ড থেকে বিষয়টির সমাধানে পৌঁছনো যাচ্ছিল না। কারণ নথি অনুযায়ী লালুর বাবার নাম কুন্দ্রিকা সিং। কিন্তু আরজেডি নেতার বাবার নাম কুন্দন রায়। তবে লালুর বাবার নাম স্রেফ ফেরারি পঞ্চনামাতেই ছিল। পুলিশ কোর্টে যে চালান ও অভিযুক্তদের তালিকা পেশ করেছিল সেখানে তা ছিল না। লালুর নাম উঠে আসাতেই মামলাটি এমপি-এমএলএ আদালতে যায়। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত লালুপ্রসাদ যাদব ও বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব একই ব্যক্তি। তাই এবার আরজেডি সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে জারি হল গ্রেফতারি পরোয়ানা।
প্রসঙ্গত, লালু প্রসাদ যাদব বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত, জেলে ছিলেন তিনি। ২০২১ সালের এপ্রিলে জামিনে মুক্তি পান।