দেবশ্রী মজুমদার, বীরভূম: ফিল্মী ক্যারিশমা! মনমোহনী আকর্ষণ! না লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ভাতা বৃদ্ধি! সে যাই হোক, যত বাড়ছে দিনের উত্তাপ, তত বাড়ছে ভোট প্রচারের উত্তাপ। আর পাল্লা দিয়ে ভিড় দেখা গেল শতাব্দী রায়ের রবিবাসরীয় ভোট প্রচারে। বীরভূম লোকসভার প্রার্থী শতাব্দী রায়ের প্রচার ছিল এক কথায় জম জমাট। তবে প্রচারে মহিলাদের ভিড় ছিল দেখার মতো। প্রচারের সময় যেমন বিদায়ী সাংসদের কাছে স্থানীয় পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তেমনি রূপালি নর্দার নায়িকার গায়ের রঙ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে একজন আরেকজন মহিলাকে বলতে শোনা গেল, ইয়াল্লাহ, গায়ের রঙ দেখ! ৩১ মার্চ রবিবার দুপুর বারোটা নাগাদ নলহাটি দুই নম্বর ব্লকের নওয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোকুলপুর গ্রামে ভোট প্রচারে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের প্রথমে পরিষেবা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শতাব্দী রায়।
ঐ গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার বেহাল রাস্তা সারাইয়ের দাবি জানিয়ে লাভ হয় নি এবং পাশাপাশি, বাড়ি না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেউ কেউ। সব কিছুর যথাযথ উত্তর দেন বিদায়ী সাংসদ। এদিন দলীয় কর্মী সভা এবং ছোট ছোট পথসভা করেন যথাক্রমে নওয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উজিরপুর, নিধিয়া,আসুরিয়া সহ আরো অন্যান্য গ্রামে। সঙ্গে ছিলেন এলাকার বিধায়ক চিকিৎসক অশোক চট্টোপাধ্যায়, ত্রিদিব ভট্টাচার্য , ব্লকের ফাইব ম্যান কমিটির সদস্যরা ও জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত প্রধান সহ আরো অন্যান্য নেতৃত্ব ও কর্মীরা।
এদিন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ভাতা বৃদ্ধি সহ একাধিক প্রকল্পের সুবিধা আপনারা পাচ্ছেন। ভোট জোড়া ফুলেই দেবেন। না হলে অন্য দলকে দিলে শুধু শুধু আপনার ভোট নষ্ট হবে। নলহাটি ২ নং ব্লকে শীতলগ্রাম অঞ্চলে শীতলগ্রাম গ্রামে সিপিএম থেকে কৃষ্ণ মাল ও কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা প্রার্থী শতাব্দী রায় মহাশয়া হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।