পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষিত স্নাতক বেকার ২৯.১ শতাংশ। যারা পড়তে বা লিখতে পারে না তাদের ৩.৪ শতাংশের চেয়ে প্রায় নয় গুণ বেশি। এবার সেই বেকারত্ব ইস্যুতে মোদি সরকারকে তুলোধনা করলেন কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি জয়রাম রমেশ। রবিবার মোদি সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে জয়রাম রমেশ বলেন, আজ বেকারত্বের হার গত চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। অথচ পরিসংখ্যানগত ছলচাতুরি করে চলেছে মোদি সরকার। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিবেদন (আইএলও)’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতকে ‘দাস মানসিকতায়’ পরিণত করেছে কেন্দ্র সরকার।
কেন্দ্র দাবি করছে ইপিএফও, ইএসআই, জাতীয় পেনশন স্কিম ডাটাবেসের ওপর ভিত্তি করে ২০২০ – ২০২৩ অর্থবর্ষে ৫২ লক্ষ নতুন চাকরি হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। জয়রাম রমেশ এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছিলেন, ভারত বছরের পর বছর ধরে আন্তর্জাতিক রেটিং এজেন্সিগুলির উপর নির্ভর করছে, কিন্তু এই প্রতিবেদন তো ঘরোয়া তথ্য তাই তাকেও সমানভাবে মান্যতা দেওয়া উচিত।
রমেশ বলেন, অনেক অর্থনীতিবিদ বলেছেন যে, ২০-২৩ অর্থবছরের মধ্যে পুরো কর্মসংস্থানের পরিমাণ ছিল ২. ২৭ কোটি। কিন্তু তিন বছরে এই ২. ২৭ কোটি চাকরি, মোদি সরকারের বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি থেকে অনেক দূরে। জয়রাম রমেশ বিদ্রুপের সুরে বলেন, প্রতিবেদনের পরেই বোঝা যাচ্ছে এই ২. ২৭ কোটি চাকরিও এখন অতি মূল্যায়ন। শীর্ষ আদালতের রায় তুলে ধরে রমেশ বলেন, ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায় ছিল, কোনও সংস্থায় ২০ জনের বেশি চুক্তিভিত্তিক কর্মী থাকলে তাদের ইপিএফও’ তে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাহলে যারা আগে থেকে নিযুক্ত ছিলেন তাদের পরিসংখ্যানই এখানে দেখানো হচ্ছে, নতুন কর্মী নিয়োগ হয়েছে কোথায়? আসলে বেকারত্ব নিয়ে ছলচাতুরির পরিসংখ্যান দিচ্ছে সরকার। গত চার দশকে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ সেটাই প্রমাণ করছে