পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: চলতি বছর মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে এখনও পর্যন্ত ৬০০০ মানুষ ইতিকাফের জন্য ফর্ম নথিভুক্ত করেছেন। চলছে রমযান মাস। ৩০ দিন ব্যাপী রোযা রাখেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। তবে কেউ কেউ রমযানের শেষ দশকে এসে আল্লাহতায়ালার সান্নিধ্য লাভের আশায় ইতিকাফ করেন। ইতিকাফ হল একজন বান্দা দুনিয়াবি সবকিছু চিন্তা ছেড়ে, শুধুমাত্র আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় তার দরজায় পরে থাকবে, এছাড়া নিরিবিলি পরিবেশে তার ইবাদতে মশগুল থাকবে। সউদি কর্তৃপক্ষের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, মসজিদুল হারামে ইতিকাফকারীদের সংখ্যা চলতি বছর দ্বিগুণ করা হয়েছে। গত বছর ইতিকাফ পালনকারীদের সংখ্যা ছিল তিন হাজার। তবে এই বছর দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং পরিকল্পনার কারণে ইতিকাফ পালনকারীদের সংখ্যা ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আরবি চ্যানেল আল-এখবারিয়ার এর এক সাক্ষাৎকারের মসজিদের গাইডেন্স এবং পরামর্শ বিভাগের প্রধান আবদুল মোহসেন আল গামদি জানান, চলতি বছর ইতিকাফ পালনকারী সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। যাদের মধ্যে ৫ হাজার পুরুষ, ১ হাজার মহিলা রয়েছেন। ইতিকাফ পালনকারীদের জন্য আলাদা করে তিনটি তলা বরাদ্দ করা হয়েছে। মসজিদুল হারামে ইতিকাফের জন্য রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে গত ১৭ মার্চ অর্থাৎ, ৭ রমজান থেকে। অথরিটির ওয়েব সাইটের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে। জানা গেছে, মসজিদে ইতিকাফের জন্য নির্ধারিত স্থানগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন অব্যাহত থাকবে। অবশ্য মসজিদুল হারামে ইতিকাফের বিষয়ে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হলো, ইতিকাফের জন্য আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের কম হওয়া যাবে না। এবং ২০ রমজানে ইতিকাফের জন্য নির্ধারিত সময়ে মসজিদুল হারামে উপস্থিত হতে হবে।
উল্লেখ্য, এবছর রমযানের শুরুতে মসজিদের ভিতর পরিষ্কার রাখার লক্ষ্যে ইফতারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেই নিষেধাজ্ঞা’কে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়। ইফতারের জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ করার জন্য ইমামা’কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। নির্দেশ শুনে মসজিদের চাতাল’কে ইফতারের জন্য নির্দিষ্ট করেন তিনি। উপস্থিত সকলের জন্য ইফতারের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সংগঠন। ইফতার পর্ব মিটে গেলেই অতি দ্রুততার সঙ্গে চাতাল-চত্বর পরিষ্কার করা হয়।