মোল্লা জসিমউদ্দিন: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠে আধার কার্ড বিষয়ক জনস্বার্থ মামলা। অভিযোগ, একাংশ ব্যক্তির আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে। কোনও সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। এই মামলাতেই এবার কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব করলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। দাখিল মামলায় অভিযোগ, ‘প্রায় এক হাজারের উপর আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে’।কেন এভাবে বিভ্রান্তি ঘটেছে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলাটি করেছে, জয়েন্ট ফোরাম আগেন্সট এনআরসি অ্যান্ড এএনআর। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে চলে এই মামলার শুনানি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ‘কেন্দ্র থেকে এই আধার কার্ড নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে এটা আসলে নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে না, এটা আসলে কোনও ভুল না ‘এরর’। মামলাকারীর আর্জি, -‘যাদের কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়েছে তাদের অবিলম্বে বিষয়টি জানানো হোক’। বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতরে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই মামলার শুনানি পর্বে কেন্দ্র এদিন জানায়, ‘এই মামলার কোনও গুরুত্ব নেই। যারা বিদেশের নাগরিক তাদের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য’। এ কথা শুনে কেন্দ্রকে হলফনামা দিতে বলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কী কারণে এমনটা হচ্ছে? তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। আগামী ২৪ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে কেন্দ্রকে।
জনস্বার্থ মামলাটি করেছে, জয়েন্ট ফোরাম এগেনস্ট এনআরসি অ্যান্ড এএনআর। লোকসভা ভোটের আগে আধার কার্ড ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই ঘোষণা করেন রাজ্য একটি পোর্টাল চালু করেছে। যাঁদের আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে এই পোর্টালে গিয়ে তাঁরা অভিযোগ জানাতে পারবেন। যদিও তাঁর সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর দাবি, ‘কোনও আধার লিঙ্ক বাতিল হয়নি’।