পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ধর্ম নিয়ে রাজনীতি? নাকি ধর্ম বনাম রাজনীতি। চর্চিত এই বিতর্ক ফের একবার উস্কে উঠল বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সুর্যের কথায়। এক্স হ্যান্ডেলে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে। ‘ ক্যাম্পেন এগেনস্ট হেট-স্পিচ’ নামক একটি সংগঠন বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। তবে এই প্রথম নয়। অতীতেও বিদ্বেষমূলক ভাষণের জেরে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। তবে থেমে থাকেনি তিনি।
জানা গেছে, নমাজের সময় হনুমান চালিসা বাজানোয় দোকানদের মারধর কাণ্ডে একটি পোস্ট করেন বিজেপি সাংসদ। তাতে তিনি লেখেন, রাজ্যে মুসলিমতুষ্টি করণের কাজ বেড়ে যাওয়ার পর থেকে এই ধরণের অপরাধ বেড়ে চলেছে। রাজ্য মুসলিমদের জন্য কোনও আইন-শৃঙ্খলা নেই। কংগ্রেস ওঁদের পা চাটতে ব্যস্ত। ‘জিহাদিদের’ রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়ায় কর্নাটকে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা বেড়েছে। কংগ্রেসের তুষ্টিকরণের রাজনীতির শূলে চড়ে হিন্দু ভাইরা প্রতিনিয়ত পদপিষ্ট হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগানকারীদের জামিন হয়েছে। তারপরেই এই ঘটনা ঘটল।
বুধবার বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন এনে নির্বাচন কমিশন ও কর্নাটক পুলিশের কাছে মামলা দায়ের হয়। পাশাপাশি নির্বাচনের আগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করারও অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই জেলা নির্বাচন অফিসার এবং মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়েছে সেই চিঠি।
সূর্যের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির আইপিসি ১৫৩-এ, ২৯৫-এ’র অধীনে মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারা ১২৩ (৩এ) ধারাতেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সম্প্রতি বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বার্থ্যহীন ভাষায় জানিয়েছিলেন, নির্বাচন এলেই ধর্মের ‘সুড়সুড়ি’ দেয় বিজেপি। বর্তমানে ওদের প্ল্যানিং শুধু কিলিং (খুনখারাপি), ব্রুটালিটি (নারকীয়তা) এবং ডিভাইড অ্যান্ড রুল (বিভাজন) করা।’