মুসরত আরা পারভিন– চাঁচল একবিংশ শতাব্দীতেও এক হাঁটু কাদাজল ভেঙে যাতায়াত করতে হয় গ্রামের বাসিন্দাদের।মালদার রতুয়া-২ ব্লকের সম্বলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিপুরের লততা পাড়ার পাঁচশো মিটার বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
গ্রামের এক বাসিন্দা জামিরুল ইসলাম সোশ্যাল মিডিয়ায় রাস্তার বেহাল দশা সারিয়ে তোলার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর দাবি– দীর্ঘ পনেরো বছর আগে গ্রামের রাস্তাটি একবার পাকা হয়েছিল। তবে এই পাঁচশো মিটার রাস্তা কোনওদিনই পাকা হয়নি। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় এক হাঁটু গর্ত। সেই গর্তে কাদাজল রয়েছে।ফলে বাসিন্দাদের প্রচুর সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। গ্রামের অপর বাসিন্দা এমাদুর রহমান জানিয়েছেন– এই বেহাল রাস্তার দরুন বিশেষ করে প্রসূতি মা ও শিশুদের চলাফেরা করতে খুবই কষ্ট হয়। অসুস্থ মানুষকে হাসপাতলে পৌঁছানোর জন্য এই রাস্তা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ঢোকে না। খাটে করে তাদেরকে চাপিয়ে কাঁধে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। আরেক বাসিন্দা মুসা আলী জানিয়েছেন– এই গ্রামের বাসিন্দারা স্থানীয় মহারাজনগর হাই মাদ্রাসা– সম্বলপুর হাইস্কুল– হরিপুর সিনিয়র মাদ্রাসা– পুখুরিয়া থানা ও ব্লক অফিস সহ অন্যান্য সরকারি দফতরে পৌঁছাতে প্রচুর সমস্যায় পড়েন। রাস্তাটি দ্রুত পাকা করার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা। তাদের আরও বক্তব্য– মাঠের ফসল ঘরে তুলতে হলে ট্রাক্টরের ট্রলিতে করে আনতে হয়। ট্রলি প্রতি আগে যেখানে খরচ হতো তিনশো টাকা– সেখানে খারাপ রাস্তার দরুন এখন সাতশো থেকে আটশো টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়। আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের পাশাপাশি চাঁদমুনি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষও এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন বলে জানা গিয়েছে।
এত বছর ধরে রাস্তাটি কেন পাকা করা হয়নি এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সম্বলপুর গ্রামের প্রধান সাবিনা খাতুন জানান– পাঁচশো মিটার রাস্তা ইতিমধ্যে পাকা করার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি রাস্তার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতার দরুন টেন্ডার হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে রাস্তাটি দ্রুত সারিয়ে তোলা হবে।