পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: একমাত্র অস্বীকৃত দল যেটি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান পেয়েছে তা হল পবন কল্যাণের জনসেনা পার্টি (জেএসপি)। বিজেপি ও তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) জোট শরিক হল পবন কল্যাণের এই জনসেনা দল(জেএসপি)। অস্বীকৃত দল হওয়া সত্ত্বেও পবন কল্যাণের জনসেনা পার্টি, যারা ইলেকট্রোরাল বন্ডের মাধ্যমে অনুদান পেয়েছে বলে খবর।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, অস্বীকৃত দলগুলি ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোনও অনুদান পায়নি। তবে দলটি ২০২২ সালে ২ কোটি ও ২০২৩ সালে ২ কোটি ও ২০২৪ সালে ১৭ কোটি, মোট ২১ কোটি অনুদান পেয়েছে। পাবলিক ডোমেনের উপলব্ধ ডেটার মাধ্যমে এই তথ্য সামনে এসেছে। রবিবার, ১৭ মার্চ এই তথ্য জানায় নির্বাচন কমিশন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, তেলেঙ্গানা ভিত্তিক পার্টির অনুদানের জন্য অ্যাকাউন্ট রয়েছে। দলগুলি প্রাপ্ত মোট অনুদানের ০.২ শতাংশ(১২,৭৬৯ কোটি টাকা টাকা) অস্বীকৃত দলের বিভাগ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। অস্বীকৃত দলগুলি হল সেই রাজনৈতিক দল যাদের সংরক্ষিত প্রতীক নেই কারণ তারা নতুন বা আগের নির্বাচনে পর্যাপ্ত ভোট পায়নি।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী বন্ড নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। এসবিআইকে সমস্ত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নরেন্দ্র মোদি সরকারের শাসনামলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন প্রয়াত অরুণ জেটলি ইলেকট্রোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ডের চালুর কথা ঘোষণা করেন। ২০১৭ সালে অর্থ বিলের মাধ্যমে আইনে একগুচ্ছ সংশোধনী এনে ২০১৮ সাল থেকে নির্বাচনী বন্ড চালু করে মোদি সরকার।
উদ্দেশ্য ছিল, নগদে যাঁরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে ‘চাঁদা’ দিয়ে থাকেন, তার এক বিকল্প তথা স্বচ্ছ পদ্ধতি তৈরি করা৷ নিয়ম ছিল, এই নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পের আওতায়, যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা কোনও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের হয়ে এসবিআই-এর কাছ থেকে বন্ড কিনতে পারবেন৷ পরিবর্তে সেই টাকা ভাঙিয়ে নিতে পারবেন সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলি৷ গোটা পদ্ধতিটির মধ্যে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। তবে এখন সেই স্বচ্ছতাই প্রশ্নের মুখে। নির্বাচনী বন্ডের সমস্ত তথ্য জমা দেওয়ার অর্থাৎ নিউমেরিক ইউনিক নম্বর কেন দেওয়া হয়নি তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষোভের মুখে পড়েছে এসবিআই।