পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: নির্বাচন কমিশনার পদে প্রাক্তন আমলা সুখবীর সিং সান্ধু এবং জ্ঞানেশ কুমারকে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার তাদেরকে নিয়োগ করা হয়েছে। তিন সদস্যের বেঞ্চ এ দিন জানায়, কোনও আইনকে সাধারণত আমরা রদ করে দিই না। তাই এ বিষয়ে কোনও স্থগিতাদেশ জারি করা হচ্ছে না। এ নিয়ে ফের শুনানি হবে আগামী সপ্তাহে।
এর আগে গতকাল অধীর চৌধুরি বলেন, কোনওভাবেই স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি। কেন্দ্রের মনোনীত ব্যক্তিরাই পদে বসেছেন। প্রধান বিচারপতি না থাকায় এটি নিয়ম রক্ষার ‘বাছাইকাজ’ হয়েছে। ওরাই কমিটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ। ওরা যা চাইছে তা-ই হচ্ছে। গতকাল রাতে আমাকে ২১২ জনের তালিকা ধরিয়ে দিয়ে বলা হয়েছিল এর থেকে শর্টলিস্ট করতে। এত কম সময়ের মধ্যে আমি কীভাবে তাদেরকে মূল্যায়ন করব। এই ২১২ জনের মধ্য থেকে আবার ৬ জনের নাম বেছে নিয়ে তাকে ভোট দিতে বলা হয়। অধীর বলেন, আমি জানি না ঠিক কোন যোগ্যতা বলে এই ৬ জনকে বাছাই করা হল ২১২ জনের মধ্য থেকে। সরকারের কাছের লোক বলেই তাদের শর্টলিস্ট করা হয়েছে, এমন প্রশ্নও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যে দু’জনের নাম ফাইনাল হয়েছে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে, তারাও যে মোদি ও অমিত শাহের ভোটেই মনোনীত হয়েছে সেটা স্পষ্ট।
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রশ্নে যে নতুন নিয়ম তৈরি হয়েছে তা মেনে যাতে বৈঠকে নিয়োগ না হয় তার জন্য গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর। পুরনো নিয়মে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ কমিটির সদস্য ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, দেশের প্রধান বিচারপতি, লোকসভার বিরোধী দলনেতা। কিন্তু নতুন আইনে কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা থাকলেও প্রধান বিচারপতির স্থান নিয়েছেন একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যাকে বেছে নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এতে নিয়োগে অস্বচ্ছতা ও স্বজনপোষণের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন জয়া। তারই শুনানি হচ্ছিল শুক্রবার।