পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ডিজিটাল ভারত গড়তে প্রধানমন্ত্রী মোদি স্বয়ং পেটিএমের বিজ্ঞাপনী প্রচারমুখ হয়ে উঠেছিলেন। সেই পেটিএম এখন প্রায় ‘নিষিদ্ধ’। নিয়ন্ত্রণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিভিন্ন পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। শুক্রবার থেকে যা কার্যকর হবে। শীর্ষ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অনুযায়ী, এর জেরে পেটিএম-এর ওই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিতে পারবেন না ব্যবহারকারী বা গ্রাহকেরা। তারা অ্যাকাউন্টে বেতন, সরাসরি সরকারি ভর্তুকি কিংবা এই ধরনের কোনও পরিষেবা পাবেন না।
ঋণ শোধের কিস্তি (ইএমআই), ওটিটি সাবস্ক্রিপশনের ফি বা বিদ্যুতের বিল মেটানোর মতো ক্ষেত্রে কোনও গ্রাহকের পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে নির্দিষ্ট দিনে আপনা-আপনি টাকা কেটে নেওয়ার (অটো পে) নির্দেশ দেওয়া থাকলে, তা চলবে যত দিন তার অ্যাকাউন্টে টাকা থাকবে। পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের ওয়ালেটে টপ আপ বা অন্য ব্যাঙ্ক থেকে টাকা স্থানান্তরও থাকবে বন্ধ।
গত ৩১ জানুয়ারি পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের উপরে নানা নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ১৫ মার্চ থেকে তাদের অধিকাংশ পরিষেবা বন্ধ করতে হবে বলে নির্দেশ রয়েছে আরবিআইয়ের। তা কার্যকর হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা বাড়ছে সেখানে।
পেটিএমের মূল সংস্থা ওয়ান-৯৭ কমিউনিকেশন্সে এখন কর্মীদের বার্ষিক মূল্যায়ন (অ্যাপ্রেইজাল) পর্ব চলছে। সূত্রের খবর, এই সময়েই একাংশকে ছাঁটাই করা হতে পারে। পেটিএমের মুখপাত্র অবশ্য তেমন আশঙ্কা অস্বীকার করেছেন। তবে একই সঙ্গে বলেছেন, ব্যবসা চালানোর ক্ষেত্রে দক্ষতা আনতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করছেন তারা। কিছু পদ ঢেলে সাজানো হবে। সংস্থার বৃদ্ধি এবং খরচে রাশ টানাই লক্ষ্য। এর ফলেই কিছু কর্মীর কাজ হারানোর আশঙ্কা বাড়ছে।