পুবের কলম প্রতিবেদক: সাধারণ মানুষের মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবণতা বাড়াতে রাজ্য সরকার ডাকঘরের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পগুলির জন্য বিশেষ প্রচার অভিযানে নেমেছে। সাধারণ মানুষ যাতে ডাকঘরের সঞ্চয় প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগ করেন, তার জন্য লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। জেলায় জেলায় শিবিরের আয়োজন করা হবে বলে অর্থ দফতর সূত্রে জানা গেছে। বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ধাপে ধাপে নানা সঞ্চয় প্রকল্পে সুদের হার বেড়েছে। সেগুলিকে প্রচারে তুলে ধরা হচ্ছে।
ডাকঘরের সঞ্চয় প্রকল্পগুলি থেকে যে রাজ্যে যত টাকা আদায় হতো, এক সময় তার উপর নির্ভর করেই ঋণ পেত রাজ্যগুলি। সেই কারণে ওই সঞ্চয় প্রকল্পগুলি বিক্রির ব্যাপারে আগ্রহী ছিল রাজ্য সরকারগুলি। ওই প্রকল্পগুলির বেশিরভাগটাই ছিল এজেন্ট নির্ভর। এজেন্টরাই আমানতকারীদের কাছে পৌঁছতেন এবং প্রকল্প বিক্রি করতেন। এজেন্সি প্রথা চালু থাকলেও ধাপে ধাপে এজেন্টদের কমিশন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেকটাই। বেশ কয়েকটি প্রকল্পে কমিশন দেওয়া বন্ধই করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে প্রকল্পগুলি কেন্দ্রের হলেও এজেন্ট নিয়োগের অধিকার রয়েছে একমাত্র রাজ্য সরকারের। এখনও সেই নিয়ম চালু আছে। যদিও রাজ্যগুলি স্বল্প সঞ্চয় থেকে আর ঋণ পায় না, তা সত্ত্বেও প্রতিটি রাজ্যের অর্থদপ্তর এজেন্ট নিয়োগ করে। এ রাজ্যেও ‘স্বল্প সঞ্চয় অধিকার’ বিভাগ সেই দায়িত্ব নেয়। প্রতিটি জেলায় তাদের অফিসও আছে।
সম্প্রতি হুগলি জেলায় বিভিন্ন স্থানে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। জেলার স্বল্প সঞ্চয় বিভাগের উপ অধিকর্তার দফতর থেকে বুধবার তারকেশ্বর এলাকায় বাউল গানের মাধ্যমে প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এছাড়াও চলতি মাসে পথনাটিকার মাধ্যমেও সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দফতরের কর্তাদের মতে, সাধারণ মানুষ যাতে ভুল জায়গায় টাকা রেখে ঠকে না যান, তাঁরা যাতে সরকারি সঞ্চয় প্রকল্পে নিশ্চিন্তে টাকা জমাতে পারেন, তার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।