পুবের কলম প্রতিবেদক: হিজাব ইস্যুতে তোলপাড় হয়েছিল কর্ণাটক। সেই আঁচ সাড়া দেশে আছড়ে পড়ে। এবার সেই রেশ কাটতে না কাটতে এ রাজ্যের আলিয়ায় হিজাব নিয়ে উপাচার্যের মন্তব্যের জেরে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের কিছু সমস্যা নিয়ে বৈঠক ডাকেন উপাচার্য আবদুল ওহাব। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আলিয়ার কিছু শিক্ষক সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। বৈঠকে হিজাব পরিহিতা কয়েকজন ছাত্রী উপাচার্যের কাছে দাবিদাওয়া পেশ করতে গেলে হেনস্থার শিক্ষার হন ছাত্রছাত্রীরা। বৈঠকে উপস্থিত থাকা ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ অনুসারে, উপাচার্য নাকি হিজাব তোলার কথা বলেছেন।
হিজাব নিয়ে বিতর্ক তোলার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাস চত্বরে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের বক্তব্য, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০ শতাংশ মুসলিম ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেন। ছাত্রীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ হিজাব পড়ে ক্যাম্পাসে ক্লাস করেন। তাই হিজাব পরিহিতা পড়ুয়াদের অপমান করার জন্য জবাব দিতে হবে উপাচার্যকে। পড়ুয়াদের অভিযোগ, উপাচার্য ইংরেজিতে মন্তব্য করেছেন, সেই মন্তব্যের বাংলা অর্থ, ‘যারা হিজাব পরেন, তারা কি সবটাই ঠিক, হিজাব খুলে কথা বলো।’
বৈঠকে উপস্থিত থাকা ইসলামিক স্টাডিজের ছাত্রী মুহাম্মদ মাহাজিবা সালকি বলেন, আমাদের হিজাব নিয়ে অপমান করা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। কারণ হিজাব আমাদের পছন্দের পোশাক। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কেন এভাবে মন্তব্য করবেন।
কেরলতে হিজাব পড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচরাচরই যান মুসলিম পড়ুয়ারা। সেখানকার ছাত্রীদের কাছ থেকে শিখেছেন। আর সেই রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসে উপাচার্য আবদুল ওহাব হিজাব নিয়ে এভাবে বিরূপ মন্তব্য করছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক।