মোল্লা জসিমউদ্দিন: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে আইনী স্বস্তি পেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তাতে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। তাঁর (অধীর চৌধুরী) বিরুদ্ধে কোনওরকম পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া ফাইনাল রিপোর্টও দিতে পারবে না পুলিশ। এদিন এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।এমনকী অধীরের সঙ্গে কথা বলতে হলে দুদিন আগে আগে তাঁকে জানিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলতে হবে পুলিশকে। সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ উপলক্ষে বাংলায় এসেছিলেন। সেই সময় রাহুল গান্ধীর কনভয়ের একটি গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সফরে ছিলেন সাংসদ অধীর চৌধুরীও। রাজ্য পুলিশের অভিযোগ, ‘সেখানে তিনি (অধীর) উত্তেজক বক্তব্য রাখেন আর তাতে কংগ্রেস সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন’। কিন্তু অধীরের আইনজীবীর দাবি, ‘ওই কাচ ভাঙার ঘটনা এ রাজ্যের বাইরেই হয়। পুলিশ মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করে তাঁকে হেনস্থা করতে চাইছেন’।
রাজ্যের দাবি, ‘অধীর যে উস্কানি দিয়েছেন, তাতে ফৌজদারি মামলার ধারা যুক্ত করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে’। সব পক্ষকে তাদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট এর সিঙ্গেল বেঞ্চ। আগামী ৫ এপ্রিল মামলার পরিবর্তী শুনানি রয়েছে। সম্প্রতি প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪১ এ ধারায় নোটিস পাঠানো হয়েছিল। ওইদিন ঠিক কী ঘটেছিল? কেনই বা জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল, তা জানতে অধীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই নোটিশ খারিজের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। এদিন অবশ্য তিনি আইনী স্বস্তি পেলেন।