পুবের কলম প্রতিবদেক: বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল এলাকায়। বুধবার সকালে বনগাঁ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একাধিক বির্তকিত বিষয়ে পোস্টার দেখা যায়। পোস্টারে লেখা হয় ‘তোলাবাজ শান্তনু ঠাকুরকে একটি ভোট নয়’, ‘কল্যাণী এইমসের তোলাবাজ শান্তনু ঠাকুর নিপাত যাক’। এছাড়াও সাংসদের কর্মকাণ্ড নিয়েও পোস্টার পড়ে এলাকায়। পোস্টারে প্রশ্ন তুলে লেখা হয়, ‘শান্তনু ঠাকুর তুমি ৫ বছরে করেছো কি? চাকরি বিক্রি ও তোলাবাজি ছাড়া আবার কি?’ বনগাঁ বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে কারা এধরণে পোস্টার লাগাল! তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাধলেও। পোস্টারের লেখনীতেই স্পষ্ট হয়েছে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। ওই সমস্ত বির্তকিত পোস্টার গুলির নিচে লেখা হয় বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি বাঁচাও কমিটি। তাতেই স্পষ্ট হয় বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল।
এই বিষয়ে বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মন্ডল বলেন, “শান্তনু ঠাকুরের নাম ঘোষণা হওয়ার পরে তৃণমূল থরথর করে কাঁপছে। এটা তৃণমূল কংগ্রেস ফেক অ্যাকাউন্ট করে পোস্ট করছে। তৃণমূলের লোকেরা এই পোস্টার লাগিয়েছে। এতে কোন লাভ হবে না। এই জেলার মানুষ তৈরি হয়ে আছে ভারতীয় জনতা পার্টি কে ভোট দেওয়ার জন্য।”
বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, “তৃণমূল এই ধরনের সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করে। এটা বিজেপির অন্তকলহ বা গোষ্ঠী কোন্দলের ফল। বনগাঁ জেলায় বিজেপিতে দেখা যায় এক গোষ্ঠী প্রোগ্রাম নিলে অন্য গোষ্ঠী পাল্টা কর্মসূচি নিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে এবার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকে জয়ী করবে।”