পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘ইয়ে স্রেফ ট্রেইলার থা, পিকচার আভি বাকি হ্যায়’। সবে মার্চ মাস পড়েছে আর এর মধ্যেই শুরু হয়েছে গরমের দাপট। চলতি বছরে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত ভারতের রাজ্যগুলিতে হিট ওয়েভের সতর্কতা জারি করল মৌসম ভবন। এল নিনোর কারণে ভারতের রাজ্যগুলিতে তাপপ্রবাহ বজায় থাকবে। এল নিনো হল প্রশান্ত মহাসাগরে উষ্ণ সমুদ্রস্রোত। পুবালী বায়ু যখন পুবে না বয়ে পশ্চিমে বয়ে যায়, তখন অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার—এই পুরো অঞ্চলটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়। কারণ, বাতাসের প্রবাহ সমুদ্রস্রোতকে বয়ে নিতে থাকে পশ্চিম দিকে। ফলে পশ্চিমের দিকে বৃষ্টি বাড়ে। আর বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত—এসব অঞ্চলে দেখা দেয় বৃষ্টির অভাব। বেড়ে যায় তাপমাত্রা। খরাও দেখা দিতে পারে।
মৌসম ভবনের ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, এল নিনোর কারণে এই তীব্র তাপপ্রবাহের দাপট অব্যাহত থাকবে। কোনও কোনও রাজ্যে তাপপ্রবাহের দিনের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিদিন থাকবে। ৬ দিন থেকে ১৪ দিন বেশি তাপপ্রবাহ জারি থাকবে কয়েকটি রাজ্যে। গুজরাতের কিছু অংশ কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা সহ উত্তরপ্রদেশে ৯ থেকে ১৫ দিন আরও বেশিদিন তাপপ্রবাহ বজায় থাকবে। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ অংশে স্বাভাবিকের উপরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখা দেবে।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য সহ অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক সহ ওড়িশার কিছু অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে। ২০১৯ সালে উত্তর-পশ্চিম ভারতে তাপপ্রবাহ ২৯ মে থেকে ১১ জুন ১৪ দিন বেশি স্থায়ী ছিল।
রেকর্ড অনুযায়ী ১৯০১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে তাপমাত্রার রেকর্ড বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। মৌসম বিভাগ জানিয়েছে, ১ মার্চ থেকে কেরলে উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ার অনুপ্রবেশ ঘটবে। তবে উত্তর-পশ্চিম ভারত এই তাপপ্রবাহের হাত থেকে বাঁচতে পারে। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে আফগানিস্তানের উপর অবস্থিত একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পূর্ব দিকে সরে যাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে ৩ মার্চ পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টিপাত বা তুষারপাত হতে পারে। ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃষ্টির ঘাটতি ছিল। ফলে ১ থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া সহ পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।