মোল্লা জসিমউদ্দিন: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে উঠে পুলিশি অনুমতি বিষয়ক মামলা। ময়দান থানায় গান্ধি মূর্তি চত্ত্বরে বিজেপি’কে অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দিলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি হবে বিক্ষোভ ধর্না। বিশেষ শর্তশাপেক্ষে অনুমতি হাইকোর্টের। জানানো হয়েছে, সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত হবে অবস্থান বিক্ষোভ। কোনও মাইক্রোফোন ব্যবহার করা যাবে না, পাশাপাশি ১৫০ জনের বেশি জমায়েতও করা যাবে না।শান্তিপূর্ণ ভাবে জমায়েত করে ধর্না সাংবিধানিক অধিকার পালন করতে হবে’। সংবিধান ১৯ ধারা অনুযায়ী এই অধিকার- পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে আদালত। বিচারপতির নির্দেশ, -”আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে বিজেপিকে। শান্তিপূর্ন অবস্থান এবং ধর্ণার অধিকার সকলের আছে। গ্রহণযোগ্য বিধিনিষেধ আরোপ করা যেতে পারে’।ধর্নায় উপস্থিত থাকবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।ব্যবহার করা যাবে না মাইক। কোন সমস্যা হলে দায় বর্তাবে মামলাকারীর ওপরেই। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। তবে এই মামলার বিচারপতির গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ, জমায়েত হওয়া ও ধরনা সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার তখনই বন্ধ করা যায়, যখন উপযুক্ত কারণ থাকে। বুধবার থেকে আগামী দুদিন গান্ধী মূর্তি পাদদেশে সন্দেশখালি ইস্যুতে ধরনায় বসবেন সুকান্ত মজুমদার। এর আগে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও তিনি সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হয়। ধস্তাধস্তিতে গাড়ি থেকে পড়ে যান সুকান্ত। তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হন। এরপর সুস্থ হয়ে সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তি ধরনা অবস্থানে বসতে চান তিনি। কিন্তু রাজ্যে বোর্ড পরীক্ষা চলছে, এই কারণ দেখিয়ে পুলিশ সেই ধরনায় অনুমতি দেয় না।সুকান্ত এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তাঁর দাবি, ওই একই জায়গায় যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনা অবস্থানে বসেন, তখন তাঁর অনুমতির ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয় না। ধরনার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুকান্ত। এদিন আদালত তাঁকে শর্তসাপেক্ষে ধরনায় অনুমতি দেয়।বুধবার এবং বৃহস্পতিবার চলবে প্রতিবাদ কর্মসূচি।