পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ২০২২-এর সারগেসি আইনের সংশোধনী আনল কেন্দ্র। নয়া আইনে যদি দম্পতির মধ্যে কোনও একজনের শারীরিক সমস্যা থাকে তাহলে তারা সারগেসির সাহায্যে পিতামাতা হতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে ডিস্ট্রিক মেডিকেল বোর্ডকে এই মর্মে সার্টিফিকেট দিতে হবে যে স্বামী অথবা স্ত্রীর মধ্যে কেউ একজন শারীরিক ভাবে অক্ষম। সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে তৃতীয় ব্যক্তি সহযোগিতা নিতে পারবেন তারা। সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে সুক্রাণু এবং ডিম্বানু ডোনারের কাছ থেকে নেওয়া যেতে পারে। অথবা তৃতীয় একজন মহিলা ওই শারীরিক ভাবে অক্ষম দম্পত্তিকে সন্তান দিয়ে সহায়তা করতে পারবেন। নয়া সংশোধনী আইনে সিঙ্গেল মাদার অর্থাৎ বিধবা কিংবা ডিভোর্সি মহিলা সারগেসির মাধ্যমে মা হতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই মহিলা কেবলমাত্র তাঁর ডিম্বানু দিয়ে বাইরে থেকে ডোনারের সাহায্যে সারগেটেট মাদার হতে পারেন। ২০২৩-এ মার্চ মাসে একটি নোটিফিকেশন জারি করে যথেচ্ছ সারগেসি বন্ধ করা হয়েছিল।
নয়া এই সংশোধনী আইনের কথা শুনে অনেকেই বলছেন ভারতের মতো দেশে এই ধরনের আইন বিপজ্জনক হতে পারে। এখানে বহু ধরনের অসাধুতার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া বহু ধর্মের এই দেশে সকলে তা সহজ ভাবে মেনেও নেবে না। বেশ কয়েক ধরনের যৌন জটিলতার কারণে কেউ কেউ সারগেসির আশ্রয় নিতে চান। তবে এমনও বহু মানুষ রয়েছেন যারা কেবল টাকার বিনিময়ে পেট ভাড়া নিয়ে থাকেন। নয়া আইনে অবশ্য তাকে বৈধতা দেওয়া হয়নি। সারগেসি কেবলমাত্র শারীরিক সমস্যা নয়, ভারতের মতো দেশে এটি একটি অত্যন্ত জটিল সামাজিক সমস্যাও। তাই অনেকেই বলছেন অতি সাবধানতার সঙ্গে গোটা বিষয়টি দেখা না হলে পরে এই সারগেসি নিয়েই তৈরি হতে পারে জটিলতা।