পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: কোনও অবস্থাতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন তথা সিএএ মেনে নেওয়া হবে না। এই বার্তা দিয়ে ইতিমধ্যেই পথে নেমে পড়েছেন অসমের সিএএ বিরোধী সংযুক্ত মঞ্চের ব্যানারে রাজ্যের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরা। লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ কার্যকর করা নিয়ে তৎপর হয়ে উঠেছে কেন্দ্র সরকার। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণাও করেছেন। কেন্দ্রের এই তৎপরতার বিরুদ্ধে ফের অসমে সিএএ বিরোধী আন্দোলন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।
রবিবার গুয়াহাটির লক্ষ্মীধর বরা ক্ষেত্রে সিএএ বিরোধী সমন্বয়রক্ষী কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এক গণসমাবেশ। এতে অংশগ্রহণ করেন বুদ্ধিজীবী হীরেণ গোঁহাই, সাংসদ অজিত ভুঁইয়া, বিধায়ক অখিল গগৈ সহ অন্যান্যরা। প্রত্যেক বক্তাই সিএএ-র তীব্র বিরোধিতা করে জানিয়ে দেন, কোনও অবস্থাতেই সিএএ গ্রহণযোগ্য নয়। এমনকি, তা চাপিয়ে দিলে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রবীণ বুদ্ধিজীবী হীরেণ গোঁহাই বলেন, রাজ্যে সিএএ বিরোধী আন্দোলন শেষ হয়েছে বলে যাঁরা প্রচার চালাচ্ছিল, তাঁদের ভুল ধারণা রয়েছে। সিএএ বিরোধিতায় সমন্বয়রক্ষী কমিটির আন্দোলন চলতে থাকবে। তিনি বলেন, সংশোধিত নাগরকিত্ব রূপায়ণ হলে দেশের বৈচিত্র্য ধ্বংস হবে। বিভিন্ন এলাকায় দেখা দেবে অশান্তি।
বিধায়ক অখিল গগৈ বলেন, আমরা প্রথম থেকে সিএএ-র বিরোধিতা করে আসছি। ভবিষ্যতেও করে যাবে? দমন-পীড়ন চললেও সিএএ কখনওই মেনে নেবো না। তাঁর দাবি, সিএএ কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অসমের ১৫ থেকে ২০ লক্ষ মানুষ নাগরিকত্ব পাবেন। বাংলাদেশে বসবাসরত ১.৭০ কোটি হিন্দু অসমে আসার সুযোগ পাবেন। সব মিলিয়ে ১.৯০ কোটি হিন্দু বাংলাদেশির বোঝা বহন করতে হবে অসম সহ গোটা দেশকে।