পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মালদ্বীপের সঙ্গে টানাপড়েনের আবহে ভারতের পর্যটন মানচিত্রে বিশেষ করে লাক্ষাদ্বীপকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে দেশের পর্যটন মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, লাক্ষাদ্বীপের জন্য ‘স্থিতিশীল উন্নয়ন’-এর পরিকল্পনা নেওয়া হবে। সে সঙ্গে সেখানকার বাস্তুতন্ত্রের যাতে ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট সংখ্যার থেকে বেশি জনসমাগম যাতে না ঘটে, সে দিকেও বিশেষ নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছেন এক কর্তা। পাশাপাশি, মন্ত্রকের বেঙ্গালুরু অফিসের ডিরেক্টর মুহাম্মদ ফারুক জানিয়েছেন, পর্যটনের প্রসার ঘটাতে তুলনায় কম জনপ্রিয় কিছু স্থানকেও চিহ্নিত করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে কেন্দ্রশাসিত লাক্ষাদ্বীপে গিয়েছিলেন স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আরাম কেদারায় বসে লাক্ষাদ্বীপের সাগরের নীল জলের ধারের মনোরম শোভা উপভোগ করার দৃশ্যটিও ভাইরাল হয়েছিল। মধুচন্দ্রিমা থেকে শুরু করে ছুটি কাটানোর জন্য মালদ্বীপ বহু ভারতীয়ের পছন্দের গন্তব্য ছিল। কিন্তু দেশটি চিনঘেঁসা হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি মোদি ও লাক্ষাদ্বীপকে নিয়ে দেশটির তিন মন্ত্রীর কটাক্ষ বিতর্কের ঝড় তুলেছিল। লাক্ষাদ্বীপকে এখন মালদ্বীপের বিকল্প হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে মোদি সরকার। দেশের জনতাও মালদ্বীপ ট্যুর বাতিল করছেন একের পর এক। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মালদ্বীপ সরকার আবার চিনের কাছে আবেদন জানিয়েছে, তারা যেন বেশি বেশি টুরিস্ট পাঠায় মালদ্বীপে। কিন্তু লাক্ষাদ্বীপকে নিয়ে মানুষের কৌতূহল এখন তুঙ্গে। বহু মানুষ এখন সেখানে বেড়াতে যেতে চাইছেন। দ্বীপপুঞ্জটি ৯৮ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত। সেখানে ঢালাও মদ, পর্ক চালু করে, বিমানবন্দর বানিয়ে একে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র করে তুলতে চাইছে মোদি সরকার। এর ফলে কোরাল দ্বীপপুঞ্জটির প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হবে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারই প্রেক্ষিতে পর্যটন মন্ত্রকের এই ‘আশ্বাস’।