পুবের কলম,ওয়েবডেস্কঃ লোকসভা, রাজ্যসভা, এমনকি বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা থেকে ক্রমশ কমছে মুসলিম প্রতিনিধির সংখ্যা। বিজেপি জমানায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তারা। জনপ্রতিনিধি না থাকায় একরকম দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হওয়ার পথে ভারতের মুসলিমরা। এমনটাই অভিযোগ ছত্তিশগড় পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত মহাপরিচালক (ডিজিপি) মুহাম্মদ ওয়াজির আনসারির। দেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী ক্ষেত্রে মুসলমানদের অনুপস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, অসম, গুজরাত, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশে উল্লেখযোগ্য মুসলিম জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারগুলিতে তারা প্রতিনিধিত্বহীন। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ১৯৮৪ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার আনসারি উদ্বেগজনক প্রবণতার কথা তুলে ধরে বলেন, যেখানে মুসলমানরা জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, অথচ সরকারের নেতৃত্ব থেকে অনুপস্থিত। বিজেপি তো শূন্য করে দিয়েছে। তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের এই প্রান্তিকীকরণের পিছনের কারণগুলি বোঝা এবং বিশ্লেষণ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। এই অভিযোগ শুধু তার একার নয়। দেশের অন্যান্য মুসলিম সংগঠন, বুদ্ধিজীবী, সচেতন মহল বারবার বিষয়টি আলোচনায় তুলে আনছে। জামায়াতে ইসলামী হিন্দ এ ব্যাপারে আগেই সতর্কতা জানিয়ে বলেছিল, দেশের ওয়াকফ সম্পত্তির অপব্যবহার হচ্ছে। সরকারি উদাসীনতায় মুসলিমদের উন্নয়নে এগুলি কাজে লাগছে না। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলি মুসলিমদের নিয়ে কোনও কথাই বলছে না। বিজেপির পায়ে পা মিলিয়ে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিও ‘সফট হিন্দুত্বের’ রাজনীতি করছে। এটা বড়ই উদ্বেগের।