দেবিকা মজুমদার: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশের আগে কোন রাজ্যে কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগবেই তার তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। যা দেশের তথা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে প্রথমবার। ওই তালিকায় উল্লেখিত সংখ্যা রীতিমত চিন্তার ভাঁজ ফেলতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দল নেতা মন্ত্রী থেকে সকলের মাঝেই। যেখানে কার্যত জ্বলছে মণিপুর সেখানে তাজ্জব করার মত বিষয় হলেও পশ্চিমবঙ্গের জন্য ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তালিকা পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয়, এই পরিসংখ্যান ছাড়িয়ে গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরকেও। এমনকি, গত লোকসভা নির্বাচনের থেকেও এবারে রাজ্যের জন্য বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে। এই বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ হিসেবেই বর্ণনা করেছেন রাজ্যসভার বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।
পুবের কলমকে দেওয়া টেলিফোনিক সাক্ষাতকারে শান্তনু সেন জানান, এটা প্রথম নয়। এর আগেও আমরা দেখেছি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তামিলনাড়ুতে এক দফায় ভোট হয়েছে অথচ বাংলায় হয়েছে আট দফায় কোভিডকে উপেক্ষা করে। কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিবেষ্টিত হয়ে নির্বাচন হয়েছে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে বিজেপি কিভাবে পরিচালনা করেছে সেটাও আমরা দেখেছি। পরবর্তী ক্ষেত্রে বিধানসভা ও লোকসভার উপনির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন সমস্ত জায়গাতেই তারা যথেচ্ছাচার করেছে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে দিয়ে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী কিভাবে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে শীতলকুচিতে আমরা সেটাও দেখেছি কিন্তু বাংলার মানুষ যখন স্থির করে নিয়েছে যে তারা তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া কাউকে গ্রহণ করবে না, তখন কেন্দ্রীয় বাহিনী ৯২০ কোম্পানিই আসুক আর ৯,২০০ কোম্পানি আসুক, বাংলার মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছে এবং আগামী দিনেও তৃণমূলের সঙ্গে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, জম্মু-কাশ্মীর বা মণিপুর কেন ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, সব থেকে অশান্তি, সব থেকে বেশি আইন অমান্য, সব থেকে আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা হয় বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এই সমস্ত জায়গায়। সেখানের জন্যও তো বাংলার থেকে অনেক কম বাহিনী চাওয়া হয়েছে। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার একটা অংশ। এসব করে কিছু হবে না। বাংলার মানুষ মন তৈরি করে নিয়েছে। তারা প্রত্যেক নির্বাচনেই বিজেপিকে বর্জন করবে।