কাবুল, ১৫ ফেব্রুয়ারি: তালিবান শাসিত ইসলামি আমিরাত আফগানিস্তানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করল চিন। সম্প্রতি কাবুলে অবস্থিত চিনা দূতাবাসে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসাবে কূটনীতিক ঝাও শেংকে নিযুক্ত করেছিল জিনপিং সরকার। তালিবান সরকারের প্রধানমন্ত্রী হাসান আখুন্দের সঙ্গে সৌজন্য-সাক্ষাতও করেছিলেন ঝাও। এবার বেজিংয়ে অবস্থিত আফগান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত হিসাবে তালিবান সরকার নিযুক্ত বিলাল করিমিকেও স্বীকৃতি দিল চিন। গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে আড়াই বছর আগে ক্ষমতা দখল করলেও এখনও আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতি পায়নি তালিবান সরকার। ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশেরই কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই আফগান তালিবানের সঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র চিনই প্রথম তালিবানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করল।
উল্লেখ্য, আমেরিকা নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের পরপরই ২০২১ সালের আগস্টে পশ্চিমা সমর্থিত ‘পুতুল’ সরকারকে উৎখাত করে দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালিবান। আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করলেও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের অবস্থানের কোনও বদল হয়নি। আমেরিকা আফগানিস্তানের কোটি কোটি ডলারের বিদেশি রিজার্ভ আটকে রেখেছে। এর ফলে দেশটিতে দুর্ভিক্ষ আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এখন চিনের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা পাওয়ায় কাবুলের আথির্ক সংকট খানিক কাটতে পারে। এর আগে আফগানিস্তানে রাষ্ট্রদূত পাঠানোর বিষয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রক থেকে বলা হয়েছিল, ‘বেজিং আফগানিস্তানের সঙ্গে আলোচনা ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। দেশটির প্রতি আমাদের নীতি স্পষ্ট এবং দৃঢ়।’